আজকাল ওয়েবডেস্ক: হায়দরাবাদে বড়দিনের আগের রাতে ঘটে গেল এক শিউরে ওঠা হত্যাকাণ্ড। পারিবারিক বিবাদের জেরে সন্তানদের সামনেই স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারল স্বামী। অভিযোগ, মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার হাতে আক্রান্ত হয়েছে ছয় বছরের একরত্তি মেয়েও। তাকেও জ্বলন্ত আগুনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি চম্পট দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ভেঙ্কটেশ তার স্ত্রী ত্রিবেণীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করত। সেই থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। গত ২৪ ডিসেম্বর বিবাদ চরমে পৌঁছালে ভেঙ্কটেশ হঠাৎই ত্রিবেণীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মায়ের আর্তনাদ শুনে মেয়ে বাঁচাতে এলে পাষণ্ড বাবা তাকেও আগুনের শিখায় ঠেলে দেয়। প্রতিবেশীরা ছুটে আসার আগেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ত্রিবেণীর। আহত শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গিয়েছে, ভালোবেসে বিয়ে করলেও দম্পতির সংসারে সুখ ছিল না। স্বামীর মদ্যপান আর অকারণ সন্দেহের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে ত্রিবেণী বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভেঙ্কটেশ ভুল স্বীকার করে এবং 'আর ভুল হবে না' বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্ত্রীকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু ঘরে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটাল সে।

প্রতিবেশীদের দাবি, ভেঙ্কটেশ চূড়ান্ত মদ্যপ ছিল। ত্রিবেণী হোটেলে এবং বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন ও সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেন। এমনকী ধারদেনা করে স্বামীকে একটি দামী বাইক কিনে দিলেও নেশার টাকা জোগাতে সেটি মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় ভেঙ্কটেশ। এর আগেও পুলিশ ও মহিলা সুরক্ষা সেলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ত্রিবেণী।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে পলাতক স্বামীর খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে নাল্লাকুন্তা এলাকায় শোক ও তীব্র উত্তজনা ছড়িয়েছে।