আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীকে না জানিয়েই স্বামীর দেহ দাহ করার চেষ্টা পরিবারের। দেওরের কাণ্ড দেখে সন্দেহ হয়েছিল বৌদির। চুপিচুপি পুলিশকে ফোন করে শ্মশানে ডাকেন। পুলিশ জলন্ত চিতা নিভিয়েই, দেহ নিয়ে যায় হাসপাতালে। এহেন কাণ্ডে শোরগোল উত্তরপ্রদেশে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের চকেরি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নীলম নামের যুবতী ফোন করে জানান, দিন কয়েক আগে বিহারে তিনি বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ৯ এপ্রিল ফোন করে দেওর জানান, তাঁর স্বামী ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন। ১০ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেখেন, সকলে মিলে তড়িঘড়ি সোহন লালের দেহ শ্মশানে নিয়ে যাচ্ছেন।
এমনকী কয়েক মিনিটের মধ্যে দেহ দাহ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। তাঁকে না জানিয়েই চিতায় আগুন জ্বালিয়ে দেন দেওর। সন্দেহ হতেই পুলিশকে তড়িঘড়ি খবর দেন নীলম। শ্মশানে পৌঁছে পুলিশ জলন্ত চিতা নেভাতেই সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে কেউ বা কারা খুন করেছেন। বাড়িতে পৌঁছেই তিনি দেখতে পান স্বামীর গলায় দাগ, কপালেও আঘাতের চিহ্ন। মাথার পিছনে রক্ত দেখতে পেয়েছিলেন। তাঁদের বিছানাতেও রক্তের দাগ ছিল। স্বামীর মৃত্যুর কারণ ঘিরে সন্দেহ হতেই পুলিশে অভিযোগ জানান। এদিকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
