আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২১ সালে খুন হন মধ্যপ্রদেশের নীরজ পাঠক। প্রাথমিকভাবে স্ত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি ছেলেকে নিয়ে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন স্বামীর দেহ। পরে তদন্তে উঠে আসে, স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রী মমতা পাঠক। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের মমতা পাঠক পেশায় রসায়নের অধ্যাপিকা। নিম্ন আদালত মমতাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দেয়। সেই রায়কে চ্যালনেজ করে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মমতা পাঠক। জামিনও মেলে ২০২৪-এ।
মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন, রসায়নের যে ব্যখ্যা দিয়েছেন মমতা তাতে তাজ্জব আদালত। শুনানি চলাকালীন মমতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি স্বামীকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করেছিলেন কি না? ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করা হয়।
তবে তাতে সাফ না জানিয়ে দেন মমতা। শুধু এটুকুই নয়। তিনি বোঝাতে শুরু করেন, থার্মাল বার্ন, ইলেকট্রিক বার্নের মধ্যে পার্থক্য কী। কেন তা ময়নাতদন্তে ধরা পড়ার কথা নয়।
মমতা পাঠকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার শুনানিতে এই মতবিনিময় আইনজীবিদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে একপ্রকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুনানির একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়েছে যে এটি "সাম্প্রতিক স্মৃতিতে সবচেয়ে অস্বাভাবিক আদালতের আত্মরক্ষামূলক বক্তব্য"।
