আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্ধুর বাড়িতে পার্টি করতে এসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হলো এক যুবতীর। তিনি একজন বিমানসেবিকা। মৃতার নাম সিমরন দড়ওয়াল (২৫)। জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবের মোহালির বাসিন্দা সিমরন এয়ার ইন্ডিয়ায় কাজ করতেন। গত শনিবার রাতে গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ-১ এলাকায় তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে সিমরন তাঁর বন্ধু নিতিকার বাড়িতে এক ঘরোয়া পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে আরও কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। রাতভর হুল্লোড় ও মদ্যপান চলে৷ এর পর সকলে যখন ঘুমিয়ে পড়েন, ঠিক তখনই ছন্দপতন ঘটে। রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ হঠাৎ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সিমরনের। তিনি নিজেই বন্ধুদের সে কথা জানান।

বন্ধুরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের পর সোমবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

তবে সিমরনের মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা (ভিসেরা) সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য মধুবনের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই বোঝা যাবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। আপাতত সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক কিশোরের। প্লাস্টিকের শেড ভেঙে নিচে পড়ে প্রাণ হারাল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। গত রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির গুজরানওয়ালা টাউন এলাকার এই ঘটনায় রীতিমত শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম কাবিন কুমার (১৬)। সে অশোক বিহারের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ছিল। রবিবার বিকেলে তিন বন্ধুর সঙ্গে গুজরানওয়ালা টাউনের ‘ইনভিটেশন’ রেস্তোরাঁয় গিয়েছিল সে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, আড্ডা দিতে দিতে ওই কিশোররা সিঁড়ি দিয়ে রেস্তোরাঁটির ছাদে উঠে যায়। সেখানে পাশাপাশি দুটি দোকানের মাঝখানে একটি প্লাস্টিকের শেড লাগানো ছিল। হঠাৎই কাবিন সেই শেডটির ওপর উঠে পড়ে। কিন্তু তার ভার সইতে পারেনি হালকা প্লাস্টিকের কাঠামোটি। মুহূর্তের মধ্যে সেটি ভেঙে সটান নিচে পড়ে যায় সে।

জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা ৫১ মিনিট নাগাদ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বন্ধুরা কাবিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পেন্টামেড হাসপাতালের চিকিৎসকরা কাবিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওপর থেকে পড়ার আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।