আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষায় ভাসছে গোটা হিমাচল। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পরিস্থিতি হাতের বাইরে। তথ্য, গত কয়েকদিনে বর্ষা-বন্যায় প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৬৩ জনের। খোঁজ নেই বহু মানুষের। রাজ্যের অন্তত ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে প্রবল বর্ষণে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি মান্ডীতে। মঙ্গলবার মাণ্ডির বিভিন্ন অংশে মোট দশটি মেঘভাঙা, তিনটি হড়পা বান ও একটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে গোহর, থুনাগ ও কর্সোগ।
হিমাচল সরকার জানিয়েছে, ‘আমাদের এখনও পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ সম্ভবত অনেক বেশিআমাদের এখন লক্ষ্য অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং পুনরুদ্ধার।‘
হিমাচলে চলতি বছরে বর্ষা প্রবেশ করেছে ২০ জুন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ১৫০টির বেশি ঘরবাড়ি, ১০৪টি গোশালা, ৩১টি গাড়ি ও ১৪টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে ১৬২টি গবাদি পশু। মাণ্ডি জেলায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩১৬ জন সহ মোট ৩৭০ জন। খোলা হয়েছে ৫টি ত্রাণ শিবির। মণালি-কিলং রাস্তা ধসে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ঘুরপথে রোতাং পাস হয়ে চালানো হচ্ছে। রাজ্যে বর্তমানে ২৬১টি রাস্তা ও প্রায় ৮০০টি জল সরবরাহ প্রকল্প বন্ধ।
এদিকে আবহাওয়া দপ্তর আগামী ৫ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা (অরেঞ্জ অ্যালার্ট) জারি করেছে। শুক্রবার দিনভর মাণ্ডি, কাংগ্রা, সিমলা, সোলান, সিমৌর ও হামিরপুরে হড়পা বানের সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও হোমগার্ডের সদস্যরা তৎপরভাবে উদ্ধারকাজে নেমেছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুক্কু ও বিরোধী নেতা জয় রাম ঠাকুর দুর্গত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন বৃহস্পতিবারেই।
