আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের সকালে রক্তারক্তি কাণ্ড। সামান্য কথা কাটাকাটি থেকেই তুমুল অশান্তি। শেষমেশ হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন পাত্র ও পাত্রী। আত্মীয়দের চোখের সামনে পাত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করলেন পাত্র। শিউরে ওঠা কাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গুজরাটে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২২ বছর বয়সি তরুণী শনিবার সকালে বিয়ের সাজে তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণেই সাত পাকে বাঁধা পড়ার কথা ছিল। ঠিক তার আগেই খাবার ও টাকাপয়সা নিয়ে তুমুল অশান্তির জেরে লোহার রড দিয়ে তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁর হবু স্বামী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাত্রীর।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, পাত্র ও পাত্রী বিয়ের আগে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। পাত্রীকে খুনের পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত পাত্র। অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে প্রভুদাস লেক এলাকার টেকরি চকে। মৃত তরুণীর নাম, সোনি রাঠোর। গত চার মাস সজন ভরাইয়া নামের এক তরুণের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে খাবার ও টাকাপয়সা নিয়ে পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। যা ক্রমেই চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। শেষমেশ হাতের ছিল যা ছিল তাই দিয়ে পাত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন পাত্র। শেষমেশ ওই লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। একাধিকবার পাত্রীর মাথা দেওয়ালে ঠেসে ধরে আঘাত করে। তাতে রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে।
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ। তড়িঘড়ি করে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ততক্ষণে অভিযুক্ত পাত্র পালিয়ে যান। পরিবার জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই যুগল প্রেমের সম্পর্কে ছিল। বিয়ের পরিকল্পনাও করছিল কয়েক বছর ধরে। বিয়ের সকালে পাত্রীর বাড়িতে এসে তিনি এহেন ভয়াবহ ঘটনা ঘটান।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, জগদীশপুর গ্রামে বিয়ের আসরটি বসেছিল। বৃহস্পতিবার ত্রিলোকপুর গ্রাম থেকে এসেছিলেন বরযাত্রীরা। ডিজে গান চালিয়ে নাচতে নাচতে বিয়ের আসরে পৌঁছন তাঁরা। এরপর পাত্রকে বরণ করে বিয়ের মণ্ডপেও নিয়ে আসেন কনের আত্মীয়রা। ঠিক মালাবদলের আগেই ঘটল বিপত্তি।
হঠাৎ ডিজের গানের সঙ্গে নাচ করতে গিয়ে কনের কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে বরপক্ষের ঝামেলা শুরু হয়। অশান্তি দেখেই শান্ত করার চেষ্টা করেন পাত্রের বাবা। সেই সময় কয়েকজন মদ্যপ যুবক তাঁর উপর হামলা করে। লাঠি দিয়ে একজন প্রৌঢ়কে মারধর করে। মালাবদল ছেড়ে বিয়ের মণ্ডপ থেকে সোজা বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান পাত্র। অভিযোগ, সেই সময় পাত্রের উপরেই হামলা করে ওই মদ্যপ যুবক।
পাত্রকে মারধর করার সময় বন্দুক দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে তাঁকে গাজিপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। শুক্রবার রাতে হাসপাতালেই প্রাণ হারান ওই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে ওই মদ্যপ যুবক বন্দুক নিয়ে বিয়ের আসরে নাচ করছিল। তার প্রতিবাদ করেছিলেন কয়েকজন। সম্ভবত সেই বন্দুক দিয়ে পাত্রের উপর হামলা করে সে। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
