আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পর মৃত্যু হল এক শিশুকন্যার। মহারাষ্ট্রের থানেতে ঘটনাটি ঘটেছে৷ বুধবার পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৬ বছর বয়সি ওই শিশু সবকটি অ্যান্টি-র্যাবিস প্রতিষেধক নিয়েছিল। এমনকী অসুস্থ হওয়ার ঠিক আগেই ধুমধাম করে পালন করা হয়েছিল তার জন্মদিন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম নিশা শিন্ডে। গত ১৭ নভেম্বর দিবা এলাকায় নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল সে। সেই সময় একটি পথকুকুর অতর্কিতে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গাল ও কাঁধে কামড়ে দেয়। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে কল্যাণ-ডম্বিভলি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত শাস্ত্রী নগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
নিশার মা সুষমা শিন্ডে জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে জলাতঙ্কের সমস্ত প্রতিষেধক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সঠিক সময়েই শুরু করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “টিকা নেওয়ার নির্ধারিত সূচি মেনে সবকটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল নিশাকে।” প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিশা সুস্থই ছিল। গত ৩ ডিসেম্বর পরিবারের সবাই মিলে হাসি-খুশিতে তার জন্মদিনও পালন করেন।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে গত ১৬ ডিসেম্বর। নিশার মা জানিয়েছেন, আগের দিনই জলাতঙ্কের শেষ প্রতিষেধকটি দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু পরদিন থেকেই প্রবল জ্বর ও মাথাব্যথায় ছটফট করতে থাকে খুদে নিশা। শুধু তাই নয়, তার আচরণেও অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দেয়। কখনও সে খাটের ওপর মাথা ঠুকতে থাকে, আবার কখনও পাশে থাকা লোকজনকে খামচে দিতে শুরু করে।
পরদিন সকালেই তাকে কেডিএমসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের একটি বড় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা বৃথা হয়। মারা যায় ৬ বছরের খুদে।
অন্যদিকে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেডিএমসি-র স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ দীপা শুক্লা। তাঁর দাবি, শিশুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চিকিৎসাবিধি বা প্রোটোকল কঠোরভাবে মেনে চলা হয়েছিল। প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও কেন এই মর্মান্তিক পরিণতি, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
