আজকাল ওয়েবডেস্ক: গিগ ওয়ার্কাররা এবার ইপিএফএ-র অন্তর্গত হতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দ্রুত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। গিগ ওয়ার্কাররা যাতে পেনশনের সুবিধা পেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই খবর। 

 


এই সিদ্ধান্তের ফলে গিগ কর্মীরা অনেকটাই বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখানই শেষ নয় গিগ কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য যোজনার অন্তর্গত হবেন বলেও খবর এসেছে। ২০২৫-২৬ বাজেটে এবিষয়ে ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। 


জানা গিয়েছে গিগ ওয়ার্কারদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করার জন্য এই পেনশনের দিকটি চালু করা হচ্ছে। যাতে অবসরকালে তারা নিজেদের জীবনকে নিশ্চিন্তে কাটাতে পারেন সেদিকে জোর দিতেই এই পদক্ষেপ। বর্তমান অর্থনীতিতে গিগ ওয়ার্কাররা অনেকটাই নিজেদের ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সকলের একটি পরিচয়পত্র দিতে চায়। এটি ই শ্রম পোর্টালে থাকবে। এবিষয়ে নীতি আয়োগ আসরে নামবে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

 


যে সংস্থায় কোনও কর্মী কাজ করবেন, সেই সংস্থাকেই বলা হবে যাতে তারা পারিশ্রমিকের একটা অংশ কেটে তা এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম-এ জমা করে। এর ফলে একদিকে যেমন ভবিষ্যতে এই কর্মীরা আর্থিক সুরক্ষা পাবেন, তেমনই সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানও স্বীকৃত হবে।
এক্ষেত্রে অবশ্য কাজের জোগান দেওয়া সংস্থাগুলি যাতে ৩ থেকে ৪ শতাংশের বেশি পারিশ্রমিক কাটতে না পারে, সেটাও নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় সরকার। টাকা কাটার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হবে।


গিগ ওয়ার্কাররা বেশি অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে অনেক সময়েই একসঙ্গে একাধিক সংস্থায় কাজ করেন। সেক্ষেত্রে যদি তাঁদের সকলের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রভিনেন্ট ফান্ড সংস্থার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার পক্ষেই সেখানে সামাজিক সুরক্ষা খাতের জন্য বরাদ্দ অর্থ সহজে জমা করা সম্ভব হবে। 


কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশেষ উপকৃত হবেন গিগ ওয়ার্কাররা। যদি ৬০ বছরের শেষে তারা পেনশন পান তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ খানিকটা হলেও সুরক্ষিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে অনেকটাই খুশি গিগ ওয়ার্কাররা।