আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিবেশীদের মধ্যে ছোটখাটো ঝামেলা হয়েছিল। যা পরে মিটমাট হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু রাগ পুষে রেখেছিল এক দম্পতি। সেই রাগের মাথায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছটফট করছিল। অবশেষে চার বছরের খুদের উপর হামলা করে প্রতিশোধ নিল ওই দম্পতি। চার বছরের ওই খুদের যৌনাঙ্গ কেটে নিল তারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পাটনার গৌরীচক এলাকায়। গতকাল পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশী দম্পতি ওই চার বছরের নাবালকের যৌনাঙ্গে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নাবালক।
পুলিশ আধিকারিক রঞ্জন কুমার জানিয়েছেন, নাবালকের পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সামান্য বচসা হয়েছিল প্রতিবেশী দম্পতির সঙ্গে। সেই ঝামেলার রাগ গিয়ে পড়ে নাবালকের উপর। প্রতিশোধ নিতে নাবালকের যৌনাঙ্গে কোপ দিয়ে দেয় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালককে উদ্ধার করে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই অভিযুক্ত দম্পতি। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দম্পতির খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনায় ফের চমক, ছুটির দিনে কি সস্তা হল হলুদ ধাতু? কলকাতায় কত জেনে নিন
প্রসঙ্গত, গত শনিবার এমন একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ফসনগঞ্জ কাচনা গ্রামে। আহত যুবকের নাম আনসার আহমেদ। ৩৮ বছরের যুবকের যৌনাঙ্গে কোপ বসানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনিন বানোর বিরুদ্ধে। রাগের মাথায় স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে নাজনিনের বিরুদ্ধে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, আনসার আহমেদের দুই স্ত্রী রয়েছেন। প্রথম স্ত্রী সাবেজুল। দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনিন। একটিও সন্তান নেই আনসার আহমেদের। জগদীশপুর থানার পুলিশ আধিকারিক রাঘবেন্দ্র জানিয়েছেন, প্রায়ই দুই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হত আনসারের। সংসারের খুঁটিনাটি দিক নিয়েই মূলত ঝামেলার সূত্রপাত। সন্তান না থাকায় কখনও কখনও স্ত্রীদের কথা শোনাতেন আনসার।
শনিবার রাতেও নাজনিনের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় আনসারের। তখনই রাগের মাথায় ধারালো ছুরি নিয়ে আনসারের উপর হামলা করেন নাজনিন। হামলার সময় হঠাৎ ছুরি দিয়ে আনসারের যৌনাঙ্গে কোপ বসান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আনসারকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই তাঁকে রায়বরেলির এইমস-এ ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনার পরেই নাজনিনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। একটি মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কী কারণে ঝামেলা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে তারা।
প্রসঙ্গত, রাগারাগি, অশান্তি নিত্যদিনের সঙ্গী। স্ত্রীর রাগ ভাঙাতে গিয়েই চলতি বছরে মে মাসে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন আরও এক যুবক। শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর রাগ ভাঙাতে গিয়েছিলেন স্বামী। তুমুল অশান্তির মাঝেই হঠাৎ স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ব্যক্তি।
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছিল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুচর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম, আব্দুল রহমান (৩৮)। বালুচর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে আব্দুলের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তার জেরে আব্দুলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
জানা গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় নিত্যদিন আব্দুলের ঝামেলা হত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগেই দু'জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। এরপর রাগ করে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। রাগ কমলেই স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন আব্দুল। সেখানে গিয়েই ঘটল বিপত্তি।
শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে আবারও ঝগড়া, ঝামেলা হয় আব্দুলের। সূত্রের খবর, সেই অশান্তির সময়েই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুলের গোপনাঙ্গে কোপ বসান স্ত্রী। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে বাড়ির সদস্যরা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁকে। দিন কয়েক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
