আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলের খেলার মাঠে প্রকাশ্যে ছাত্রখুন।  এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযুক্তদের পাশাপাশি এক নাবালককেও আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের পিপরাইচ থানা এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। ঘটনা ঘিরে হুলুস্থুল চারিদিক। তরুণের এহেন চরম পরিণতিতে চমকে উঠেছে দেশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম দয়ানন্দ ওরফে ছোটু, হৃত্বিক রোশন ওরফে রোশন, উদয় ওরফে কিষাণ কুমার এবং দীপক। জানা গিয়েছে, এদের সকলেরই বয়স ১৯ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

এই চারজন এবং অভিযুক্ত নাবালক সকলেই পিপরাইচ থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। খবর অনুযায়ী, এই চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আদালতে তোলা হয়েছে৷  একইসঙ্গে অভিযুক্ত আরেকজন নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হবে।

পুলিশ সুপার জ্ঞানেন্দ্র নাথ প্রসাদ জানান, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্তদের হদিস মিলেছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৬ ডিসেম্বর পিপরাইচ এলাকার একটি স্কুলমাঠে সুধীর ভারতী (১৭) নামে এক ছাত্রকে গুলি করে খুন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওইদিন মাঠে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সুধীরের কোনওকারণে বচসা শুরু হয়েছিল। বিবাদ চরমে পৌঁছলে আচমকাই অস্ত্র বের করে সুধীরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সুধীর৷ সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।

তদন্তকারীদের দাবি, পুরনো শত্রুতা এবং সমাজমাধ্যমে কিছু পোস্টকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩(১) ও ৬১(২) ধারা এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷