আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ রাজধানী আগরতলা সহ পশ্চিম ত্রিপুরার একাধিক এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা নিজে ত্রাণ শিবির ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "গত দুদিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুধু ত্রিপুরায় নয়, সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বেশি বৃষ্টি হলেও জমা জল সরে গিয়েছে। এতে বোঝা যায় যে জলের বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা ঠিক রয়েছে।"
তিনি আরও জানান, "এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমরা কতটুকু প্রস্তুত রয়েছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সেভাবেই প্রশাসন, পুর নিগমের কর্মী ও আধিকারিকগণ কাজ করছেন। যারা এখনো বন্যা কবলিত এলাকায় রয়েছেন, তারা যেন প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসেন।"
মুখ্যমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা বস্তি সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রায় ২৪/২৫টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রিত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন। তিনি বলেন, "ত্রাণ শিবিরে থাকা-খাওয়ার যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল টিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্যানিটেশন বজায় রাখারও নির্দেশ দিয়েছি।"
রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে জানান, রাজ্যে মোট ৬০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে যেখানে ২৮০০টি পরিবারের ১০,৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পশ্চিম ত্রিপুরা, খোয়াই, ঊনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরা জেলায় এই শিবিরগুলি স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, আপদা মিত্র, সিভিল ডিফেন্স সহ একাধিক সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবক যুক্ত আছেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ৪৬টি বাড়ি, যার মধ্যে ১২টি সম্পূর্ণ ও ৩৪টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাওড়া নদীর জল বিপদসীমার উপরে ছিল, তবে পরবর্তীতে জলস্তর কমতে শুরু করেছে বলে জানায় প্রশাসন।
রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে।
