আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলন্ত ট্রেনের সামনে চলে এসেছিল মোটরবাইকটি। চালক সামলানোর সুযোগটুকুও পাননি। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের। বুধবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার রওজা থানা এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতি, তাঁদের দুই শিশু সন্তান এবং আরও এক আত্মীয়। লখিমপুর জেলার বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা সেঠপাল (৪০) তাঁর স্ত্রী পূজা (৩৮), তাঁদের দুই সন্তান এবং শ্যালক হরি ওমকে (৪৫) নিয়ে ফিরছিলেন। খবর অনুযায়ী, একটি বাইকেই সওয়ার ছিলেন পাঁচজন। রওজা স্টেশনের কাছে একটি পথ দিয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় লখনউগামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন তাঁদের সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই নিহন হন পাঁচজন। 

পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানান, ঘড়িতে তখন সাড়ে ছ’টা। পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী দম্পতি সম্ভবত নিগোহি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। ডাউন লাইনে ট্রেন চলে আসায় এই বিপত্তি ঘটে। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়েই পুলিশ সুপার নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদারকি করেন। পরে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। রেল চলাচল এখন স্বাভাবিক। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

অন্যদিকে, বড়দিনের আবহে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা কর্ণাটকে। ফের যাত্রীবাহী বাসে বিধ্বংসী আগুন। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই দাউদাউ আগুন ছড়িয়েছে গোটা বাসে। আগুনে ঝলসে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে কর্ণাটকে। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ কর্ণাটকের চিত্রদূর্গ জেলার ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেসরকারি স্লিপার বাসটি। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেটির। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিবামোগ্গার দিকে যাচ্ছিল। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ট্রাকটি উল্টোদিক থেকে আসছিল। ডিভাইডার টপকেই বাসের মুখোমুখি ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এক পুলিশ আধিকারিক প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, ট্রাকটি বাসের তেলের ট্যাঙ্কে ধাক্কা দিয়েছিল। যা থেকেই নিমেষের মধ্যে আগুন গোটা বাসে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন যাত্রী পালাতে পারলেও, কয়েকজন বাসে আটকে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ৯ জন যাত্রী ও ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে। 

বাসে চালক, কন্ডাক্টর-সহ ৩২ জন ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'কর্ণাটকের চিত্রদূর্গ জেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। যাঁরা প্রিয়জনদের হারালেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।' এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি।