আজকাল ওয়েবডেস্ক: পড়ায় মন ছিল না একদম। ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমে বাড়ছিল চিন্তা। সেই রাগের বশে নয় বছরের ছেলে প্রথমে দেওয়ালে মাথা ঠুকে এবং তারপর গলা টিপে খুন করলেন বাবা। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি ছেলের দেহ সৎকারের চেষ্টা করেছিল পরিবার। সেই সময় পুলিশ এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। শিশুটির বাবা, ঠাকুমা এবং কাকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পুণের বারামতী শহরের ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরে। মৃত শিশুটির নাম পীযুষ ভান্ডালকর। বাবার নাম বিজয় গণেশ ভান্ডালকর। শিশুটির মা আলাদা থাকতেন। বাবার কাছেই থাকত পীযুষ। পড়াশোনা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বাবার কাছে বকা শুনত শিশুটি। মঙ্গলবারও বকঝকা করছিলেন। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। রাগে ছেলের মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেন। তারপর গলা টিপে খুন করেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিজয় এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পীযূষের মৃতদেহ প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানে তাঁরা দাবি করেন, পীযুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা করে দেখেন পীযুষ মৃত। পরিবারকে ডাক্তারার পরামর্শ দেন সরকারি হাসপাতালে যেতে। কিন্তু পরিবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়, গ্রামবাসীদের জানান যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আচরণের সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা রাত ৯টার দিকে পীযূষের মৃত্যুর সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করেন।

পুলিশ গিয়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তার রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর তার বাবা বিজয় ভান্ডলকর, ঠাকুমা শালান ভান্ডলকর এবং কাকা সন্তোষ ভান্ডলকরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।