আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমে প্রত্যাখ্যান। কথা বলার সুযোগও পাচ্ছিলেন না। তরুণী বারবার 'না' বলাতেই নাকি রাগের মাথায় পদক্ষেপ! ফরিদাবাদ কাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবক স্বীকার করেছেন, বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েই নাকি তিনি গুলি চালান ভরা বাজারে।
দিল্লি সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূর। সোমবার সন্ধেয় সেখানে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে রীতিমতো আতঙ্ক গোটা এলাকায়। ঘটনা কী, কেন তা জানা গিয়েছিল সোমবারেই। তবে সঠিক কারণ বোঝা যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তারির পর জানা গেল আসল কারণ।
সোমবার রাতে, এক যুবক, রীতিমতো স্টক করে, অর্থাৎ টানা অনুসরণ করে, গুলি চালান তরুণীর উপর। মুহূর্তে, চিৎকার, রক্তারক্তি। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক এলাকায়। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বল্লভগড়ের শ্যাম কলোনিতে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ওই তরুণী কোচিং ক্লাস সেরে, লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে, সেখান থেকে ফিরছিল। আচমকা তখনই ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা। সূত্রের খবর, ঘটনার সমস্ত পরিস্থিতি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে ইতিমধ্যেই।
কী দেখা গিয়েছে তাতে? সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই যুবক কিছুক্ষণ ধরেই নির্দিষ্ট জায়গায় একটি মোটরবাইকের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা সিসিটিভি ফুটেজে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় তরুণীকে দেখা যায়। তরুণীকে দেখেই, ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করেন ওই যুবক। তরুণী ছুটে পালাতে গেলে, পরপর দুটি গুলি চালান ওই যুবক। একটি যুবকের কাঁধে এবং অন্যটি তলপেটে লাগে। ১৭ বছরের তরুণীর সঙ্গে সেই সময় আরও দু'জন তরুণী ছিলেন। গুলির শব্দে আতঙ্কে তারা ওই জায়গা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। ওই তরুণীকে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তরুণীর পরিবার আগেই জানিয়েছিল, ওই যুবকের নাম যতীন। তিনি পরিচিত ছিলেন পরিবারের। তরুণীর দিদি জানিয়েছেন, দিনকয়েক ধরেই তরুণীর পিছু নিয়েছিলেন যুবক। যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন তাঁরা। তবে যুবকের মা অনুরোধ করায়, তাঁরা সেই মুহূর্তে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। তরুণীর দিদির আফশোস, কেন ওই মুহূর্তে অভিযোগ দায়ের করেননি। তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না, ভাবছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীর নাম কনিষ্কা। যতীন মঙ্গলা নামের যুবক তাঁর উপর আক্রমণ করেন। পুলিশ সিটি বল্লভগড় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে এবং সেক্টর ৬৫-এর ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল গুরুগ্রামের সোহনার কাছে সারমাথলা গ্রাম থেকে মঙ্গলাকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়, যতীন মঙ্গলা জানিয়েছেন যে, ফরিদাবাদের জাখোপুরের রাওয়াল ইনস্টিটিউট কলেজে অ্যাকাউন্টিং বিভাগে কাজ করেন তিনি এবং কনিষ্কার সঙ্গে তাঁর দেখা হয় ২০২৪ সালে। ৩ নভেম্বর তিনি, ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলার জন্য পিছি নিয়েছিলেন। কিন্তু তরুণী রাজি হননি। তখনই ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে চালিয়ে দেন যুবক।
