আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূর। সেখানেই ঘটেছে হাড়হিম করা  ঘটনা। এক যুবক, রীতিমতো স্টক করে, অর্থাৎ টানা অনুসরণ করে, গুলি চালিয়েছেন তরুণীর উপর। মুহূর্তে, চিৎকার, রক্তারক্তি। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক এলাকায়। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বল্লভগড়ের শ্যাম কলোনিতে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ওই তরুণী কোচিং ক্লাস থেকে ফিরছিল। আচমকা তখনই ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা। সূত্রের খবর, ঘটনার সমস্ত পরিস্থিতি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে ইতিমধ্যেই।
কী দেখা গিয়েছে তাতে? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই যুবক কিছুক্ষণ ধরেই নির্দিষ্ট জায়গায় একটি মোটরবাইকের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা সিসিটিভি ফুটেজে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় তরুণীকে দেখা যায়। তরুণীকে দেখেই, ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করেন ওই যুবক। তরুণী ছুটে পালাতে গেলে, পরপর দুটি গুলি চালান ওই যুবক। একটি যুবকের কাঁধে এবং অন্যটি তলপেটে লাগে। ১৭ বছরের তরুণীর সঙ্গে সেই সময় আরও দু'জন তরুণী ছিলেন। গুলির শব্দে আতঙ্কে তারা ওই জায়গা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। ওই তরুণীকে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম জিতেন। তিনি পরিচিত ছিলেন পরিবারের। তরুণীর দিদি জানিয়েছেন, দিনকয়েক ধরেই তরুণীর পিছু নিয়েছিলেন যুবক। যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন তাঁরা। তবে যুবকের মা অনুরোধ করায়, তাঁরা সেই মুহূর্তে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। তরুণীর দিদির আফশোস, কেন ওই মুহূর্তে অভিযোগ দায়ের করেননি। তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না, ভাবছেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে যে অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং আক্রমণকারী ওই যুবক যতীন মঙ্গলার খোঁজ চলছে। পুলিশ ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, 'প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তরুণীর পরিচিত। মেয়েটি অভিযুক্তকে চিনতে পেরেছে। আমরা একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ অভিযুক্তকে খুঁজছে।'
ওই তরুণীর দিদি জানিয়েছেন যে, তরুণী তার বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং প্রতিদিন ওই একই পথ দিয়ে কোচিং থেকে বাড়ি ফিরত। ফলে দিন কয়েক অনুসরণ করার ফলে, ধাওয়া করা খুব সহজ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ঠিক কী কারণে যতীন দিনের পর দিন ওই তরুণীকে অনুসরণ করতেন? কেনই বা ওই চরম পদক্ষেপ বেছে নিয়েছিলেন? তা জানা যায়নি এখনও। পুলিশের ধারণা, যতীন পুলিশের জালে ধরা পড়লে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই জানা যাবে বাকি সব তথ্য।  
অন্যদিকে, সামনে এসেছে বেঙ্গালুরুর এক খুনের ঘটনা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, খুনে অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর জেরেই স্ত্রীকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ওষুধের ওভার ডোজ দিয়ে খুন করেছিলেন। এরপর প্রেমিকাকে খুনের কথা জানান। ফরেন্সিক টিম চিকিৎসকের ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখার পর এটি জানিয়েছে। ঘাতক চিকিৎসকের প্রেমিকার পরিচয় এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের প্রেমিকাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বিয়ের আগে না পরে এই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তাও খতিয়ে দেখছে তারা। চিকিৎসক খুনের ঘটনায় প্রেমিকার কী ভূমিকা ছিল, প্ররোচনা ছিল কিনা, তাও তদন্ত করছে পুলিশ।
