আজকাল ওয়েবডেস্ক: আত্মায়ীদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজে বাড়ি তৈরির, যা বাস্তবায়িত করতে বেজায় সমস্যায় পড়েন বেঙ্গালুরুর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মুরলী গোবিন্দরাজু। শেষমেষ নাল্লুরাহল্লিতে ওই নির্মাণাধীন বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মুরলী গোবিন্দরাজু। মৃতের মায়ের অভিযোগ, ক্রমাগত তোলাবাজির হুমকি, দাবি মতো টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রবল হয়রানির মধ্যে ফেলা হয়েছিল তাঁর ছেলেকে। গ্রেটার বেঙ্গালুরু কর্পোরেশনের বেশ কয়েকজন আধিকারিকও এর নেপথ্যে ছিলেন। নানা অছিলায় কপ্রোরেশন বাড়ি তৈরির কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। অভিযোগ, শেষ পর্যন্ত সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ৪৫ বছরের সফট ওয্যার ইঞ্জিনিয়ার।
পুলিশের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে মুরলী গোবিন্দরাজুর মা জানিয়েছেন যে, ২০১৮ সালে নাল্লুরাহল্লিতে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে তাঁর ঠেলে একটি জমি কিনেছিলেন। ওই জমিতেই একটি বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। এই নির্মাণের শুরু থেকেই দুই ব্যক্তির ক্রমাগত হয়রানি এবং অবৈধ তোলাবাজির কারণে তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। বৃদ্ধার দাবি, গত ২৫শে অক্টোবর, উষা নাম্বিয়ার এবং শশী নাম্বিয়ার নামে দুই ব্যক্তি মুরলীর সঙ্গে একাধিকবার (প্রায় ১০ থেকে ১৫ বার) দেখা করে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিন। সেই টাকা মুরলী দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এরপর ঊষা ও শশী, গ্রেটার বেঙ্গালুরু কর্পোরেশনের কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গে যোগসাজশ করেন। নানা কথা বলে কর্পোরেশনের লোকেরা বার বার বাড়ি তৈরির কাজে ব্যাঘাত ঘটান।
এতেই বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন মুরলী গোবিন্দরাজু। মায়ের আরও অভিযোগ যে, ঘটনার দিন ফের ঊষা ও শশী মুরালির কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মুরলী। শেষপর্যন্ত ভোর ৬টা নাগাদ মুরলী তাঁর নির্মীয়মাণ বাড়িতে যান। সেখানে সিলিং ফ্যানের জন্য তৈরি লোহার হুকে ঝুলে পড়েন।
পরে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কাঠমিস্ত্রি গণেশ কাজে এলে মরুলীর ঝুলন্ত দেহটি দেখে পরিবারে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের শরীরের কাছে ছিল ১০ পাতার একটি সুইসাইড নোট।
মুরালির মা, ঊষা এবং শশীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনজানিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি এবং ছেলের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনেছেন। পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে।
মুরলী গোবিন্দরাজু, স্ত্রী দুর্গাদেবী এবং সন্তান দেশিতার সঙ্গে বসবাস করতেন।
