আজকাল ওয়েবডেস্ক: পড়াশোনার অত্যধিক চাপ। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েও, আতঙ্কিত প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অবশেষে বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে চরম পদক্ষেপ করলেন তিনি। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম বর্ষের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। সম্ভবত পড়াশোনার চাপেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আত্মহত্যার আগে বাবা-মায়ের উদ্দেশে সুইসাইড নোট লিখেছিলেন তিনি। যেখানে ক্ষমা চান তিনি। সুইসাইড নোটে পড়ুয়া লিখেছিলেন, পড়াশোনার জন্য আর অর্থ ব্যয় হোক, তা চান না তিনি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম, আকাশ দ্বীপ। দিল্লি টেকনিক্যাল ক্যাম্পাসের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। গ্রেটার নয়ডায় নলেজ পার্ক এলাকায় হোস্টেলে থাকতেন বিহারের বাসিন্দা আকাশ। গতকাল সন্ধ্যায় ওই হোস্টেলের ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সহপাঠীরা। তড়িঘড়ি করে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আকাশের ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেখানে বাবা-মায়ের উদ্দেশে তিনি লিখেছিলেন, 'বাবা-মা আমাকে ক্ষমা করো, আমাকে তোমরা দুর্বল ভেবো না। কখনও ভেবো না, আমি এটা অন্য কারও জন্য করছি। আমার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী। আমার মৃত্যুর পর কাউকে বিড়ম্বনায় ফেলো না।'
চিঠিতে আরও লেখা ছিল, 'আমি চাই না, আমার পড়াশোনার জন্য আর অর্থ ব্যয় হোক। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে যা হয়েছিল, আবারও একবছর পিছিয়ে যাক, তা আমি চাই না। চার বছর ধরে আমি এটা টেনে নিয়ে যেতে পারব না। অর্থ ব্যয় করে মিথ্যে আশা দেখাতে পারব না। আমি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে খারাপ করেছিলাম। আবারও সেই ভুল করতে চাই না।'
দিন কয়েক আগে আরও এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার চরম পরিণতি ঘটে। প্রেমের সম্পর্কের ভয়ঙ্কর পরিণতি। বিয়ের আলোচনার অজুহাতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে খুন। খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সাঙ্গারেড্ডি জেলায়। মৃত তরুণ, দ্বিতীয় বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছিলেন। তাঁর প্রেমিকার পরিবারের হাতেই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। বিয়ের আলোচনা করতে বাড়িতে ডেকেছিলেন তরুণকে। সেই সময়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃত তরুণের নাম, জ্যোতি শ্রবণ সাঁই। তিনি সেন্ট পিটার্স ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনার জন্য কুথবুল্লাপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি ছিল তরুণীর পরিবারের। একাধিকবার হুমকি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতেও বলা হয়েছিল। এরপর ভয়াবহ হামলা চালানো হল তরুণের উপর।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রবণ ১৯ বছর বয়সি শ্রীজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। এই সম্পর্কটি মেনে নেয়নি শ্রীজার পরিবার। অতীতে একাধিকবার যা ঘিরে ঝামেলা হয়েছিল। ঘটনার দিন শ্রবণকে শ্রীজার পরিবার বাড়িতে ডাকে। বিয়ের আলোচনা করবে বলেও জানায়। প্রেমিকার বাড়িতে পা রাখতেই তাঁর উপর হামলা চালায় পরিবারের সদস্যরা ও শ্রীজার মা। ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাঁকে।
মাথায় গুরুতর চোট পান শ্রবণ। দুটো পা ভেঙে যায় তাঁর। তড়িঘড়ি করে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ক্রিকেট ব্যাটটিও উদ্ধার করেছে তারা। জোরকদমে তদন্ত চলছে।
