আজকাল ওয়েবূডেস্ক: স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপাতে গিয়েছিলেন মদ্যপ। যা দেখেই জামাইকে ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করেন। এতেই চটে লাল মদের নেশায় বুঁদ জামাই। শেষপর্যন্ত স্ত্রীকে নাগালে না পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকেই ছুরি দিয়ে মেরে খুন করলেন জামাই। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর জেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ভেঙ্গাইয়া নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় তাঁর স্ত্রী অঙ্কাম্মার উপর ছুরি দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তখন অঙ্কাম্মার বাবা-মা, কাল্লায়া এবং জয়ম্মা তাঁদের মেয়েকে বাঁচাতে হস্তক্ষেপ করেন। হঠাৎ উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, তখন ভেঙ্গাইয়া শ্বশুর-শাশুড়িকে আক্রমণ করে বসেন। উভয়কেই ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
জামাই ভেঙ্গাইয়ার আক্রমণে অঙ্কাম্মা গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদয়গিরি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, পুলিশ কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
হামলার পর অভিযুক্ত ভেঙ্গাইয়া ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাঁকে খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। ভেঙ্গাইয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একই রকম আরেকটি ঘটনায়, তামিলনাড়ুর তিরুভারুর জেলায় একজন এআইএডিএম-কে কর্মীকে হত্যার অভিযোগে মদ্যপ এক বৃদ্ধ প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আনন্দ বাবু, মান্নারগুড়িতে এআইএডিএমকে-এর আইটি শাখার নেতা ছিলেন।
পুলিশের মতে, ২৪শে জুন রাতে আনন্দ বাবু নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসার সময় এই ঘটনা ঘটে। পাশের বাড়িতে ছাগল ও গরু পালনকারী বৃদ্ধা মহিলা মুথুলক্ষ্মীকে চিৎকার করতে শোনা যায়। আনন্দ বাবু তাঁর চিৎকারকে নিজের দিকে ইঙ্গিত করে ভুল করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ক্রোধে সে তাঁর বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাকে আক্রমণ করে।
এলাকার বাসিন্দারা আহত মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে পরে গুরুতর আঘাতের জেরে তাঁর মৃত্যু ঘটে। আনন্দ বাবুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপাতত আনন্দ বাবু হেফাজতে রয়েছে।
