আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য 'আত্মদীপ' নামে এক সংগঠন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিল। ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেই শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই আবেদনকারী সংগঠনের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, "রাজনৈতিক লড়াই অন্য কোথাও করুন। কোর্ট রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না।"
সিনিয়র অ্যাডভোকেট মণীন্দর সিং এ দিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয়ে জানান যে, অবমাননার মামলা শুরু করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি চেয়ে একটি আবেদন ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীর কতা শুনেই দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাই মন্তব্য করেছেন, "আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি সম্মতি পাবেন? আদালকে আপনার রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্র বলে মনে করবেন না। এখানে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। আপনার উচিত অন্য কোথাও লড়াই করা।"
ফের চার সপ্তাহ পর এই মামলা তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের ৩ এপ্রিল, ২০২৫ সালের রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর জনসমক্ষে করা মন্তব্যের ভিত্তিতে এই মামলা শুরু হয়েছে। রায়ের পর পরই, মমতা ব্যানার্জি জনসমক্ষে যা বলেছিলেন, তা আবেদনকারীর দাবি অবমাননাকর এবং আদালতের কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ন করার জন্যই করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী আদালতের নিয়োগ বাতিলের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "কারও চাকরি কেড়ে নেওয়ার অধিকার কার আছে? কেউ না... এটা বলার জন্য তুমি আমাকে জেলে দিতে পারো। কিন্তু, আমার তাতে কিছু যায় আসে না।" তিনি আরও বলেছিলেন, "শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য... একটা ষড়যন্ত্র চলছে। তুমি তাদের সবাইকে চোর বলছো... তোমাকে এটা বলার অধিকার কে দিয়েছে?" আমি খোলাখুলিভাবে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি…"
আবেদনকারীর মতে, একজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য কেবল আদালতের কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ন করে না বরং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা কমাতে পারে।
