আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম তারকা ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া। শুধু বিনোদন জগত নয়, সব জগতের মানুষরাই শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতীয় লেজেন্ডের মৃত্যুতে।
তবে এবার শোকের ছায়া দেখা গেল সীমান্তের ওপারেও। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চরমে। কিন্তু সবসময় তো পরিস্থিতি এরকম ছিল না। বলিউডের তারকারা পাকিস্তানে বিখ্যাত। ধর্মেন্দ্রও কিছু কম যেতেন না।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। বলিউডের লেজেন্ডকে আবেগঘন শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। সোমবার তিনি জানান, ধর্মেন্দ্র শুধু ভারতের নয়, সমগ্র উপমহাদেশের মানুষের কাছে এক অনন্য আইকন।
লতিফ সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বলেন, ‘ধর্মেন্দ্রজি ছিলেন কিংবদন্তি নায়ক। শোলে আজও সর্বকালের সেরা ছবির তালিকায় রয়েছে। তিনি এক অসাধারণ উত্তরাধিকার রেখে গেলেন, এবং পাকিস্তানেও তিনি অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। গভীর সমবেদনা জানাই।’
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ৮৯ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্রকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়।
কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলেও সোমবার শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে যান বলিউডের এই প্রবীণ তারকা। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে ভারতের ক্রীড়াজগত থেকেও শোকের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আজ আমরা হারালাম ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তিকে, যিনি তাঁর আকর্ষণ ও প্রতিভা দিয়ে অগণিত মানুষের মন জিতে নিয়েছেন। তিনি ছিলেন সকলের অনুপ্রেরণা। কঠিন সময়ে পরিবারের সবার প্রতি রইল আন্তরিক সমবেদনা।’
শচীন তেন্ডুলকরও এক্স হ্যান্ডেলে আবেগঘন পোস্টে স্মরণ করেছেন ধর্মেন্দ্রকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি সহ বহু মানুষ প্রথম দিন থেকেই তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ ছিলাম। পরে যখন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়, দেখেছি তিনি কত অসামান্য মানুষ। তাঁর এনার্জি ছিল অবিশ্বাস্য। তিনি আমাকে ভালবেসে বলতেন, ‘তুমকো দেখকর মেরা এক কিলো খুন বার যায়ে।’ তাঁর সেই সহজাত আন্তরিকতা সবাইকে স্পেশাল অনুভব করাত। তাঁকে ভাল না বেসে থাকা অসম্ভব। আজ তাঁর প্রয়াণে মনটা ভারাক্রান্ত। মনে হচ্ছে যেন আমার দশ কিলো রক্ত কমে গেল। খুব মিস করব।’
