আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহিলাদের জন্য মহারাষ্ট্র সরকার ঘটা করে 'লাড়কী বাহিণ' প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু এই প্রকল্প টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম অবস্থা 
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের। আগেই ‘লাড়কী বহীণ’ প্রকল্পে বরাদ্দ কমানো হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও সামলানো দায়। এবার তাই লাড়কী বহীণ’প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে মহারাষ্ট্র সরকার মদের উপর আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করল। এর ফলে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বাধীন সরকারের বার্ষিক ১৪,০০০ কোটি টাকা আয় বাড়বে।

বাড়তি আবগারি শুল্ক ভারতে তৈরি বিদেশী মদ (IMFL), দেশি মদ এবং আমদানি করা মদের উপর প্রযোজ্য হবে। মহারাষ্ট্র তৈরি মদ (MML) নামে একটি নতুন বিভাগও মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। ভারতে তৈরি বিদেশী মদ এবং প্রিমিয়াম বিদেশি মদের ব্র্যান্ডের দামও ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।

ভারতে তৈরি বিদেশি মদ-এর উপর আবগারি শুল্ক উৎপাদন খরচের প্রায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রতি বাল্ক লিটারে ২৬০ টাকা উৎপাদন খরচের পণ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। দেশি মদের উপর শুল্কও ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি প্রুফ লিটারে ২০৫ টাকা হয়েছে।

রাজ্য সরকার 'লড়কী বহিণ' প্রকল্পের মহিলাদের মাসিক ১,৫০০ টাকা সহায়তা দিয়ে থাকে।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন যে, সরকার আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বৃদ্ধি বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে, বিরোধীরা ক্ষমতাসীন মহাযুতি জোটকে, (বিজেপি, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি) নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা এবং কিস্তি বিতরণে বিলম্বের জন্য নিন্দায় মুখর।

২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে 'লাড়কী বাহিণ' প্রকল্পটি গেম চেঞ্জার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল।

২.৫ কোটিরও বেশি মহিলা 'লাড়কী বাহিণ' প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে যাচাইয়ের ফলে ৯ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীকে বাদ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের সাম্প্রতিক যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখা গিয়েছে যে, ২২৮৯ জন সরকারি কর্মচারী এই সুবিধা ভোগ করছেন। পরে তাদের নামও বাদ দেওয়া হয়।

এই প্রকল্পটি অর্থের অপচয় বলেও সরকারের অন্দরে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। শিবসেনার সামাজিক ন্যায়বিচার বিভাগের মন্ত্রী সঞ্জয় শিরসাত, প্রকল্পের কিস্তি পরিশোধের জন্য তার বিভাগের তহবিল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য অর্থ বিভাগের প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন।