আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাতে মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরই দেশজুড়ে শুরু হবে নতুন বছরের আনন্দ। তার আগে দিল্লিতে পুলিশের ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হল। এর সুফল মিলল হাতে হাতেই। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশেন আঘাত ৩। রাতের দিকে বিশেষ করে এই অপারেশন চালানো হয়েছে।
দক্ষিণ দিল্লি থেকে এই অপারেশনের ফলে বিরাট সফলতাও পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইতিমধ্যেই অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে ২৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫০৪ জনকে আরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা সকলেই ট্রাফিক আইন ভেঙে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। খারাপ আচরণের জন্য জরিমানা করা হয়েছে ১১৬ জনকে।
যাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের কাছ তেকে ২১ টি দেশী পিস্তল, ২০ টি কার্তুজ এবং ২৭ টি ছুরি মিলেছে। পাশাপাশি বহু নেশার সামগ্রী এবং অবৈধ মদও আটক করেছে পুলিশ। নতুন বছরের আগে এই অভিযানের ফলে খুশি দিল্লির বাসিন্দারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইতিমধ্যেই তারা ৩১০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। এগুলি সবই চুরি করা মোবাইল। এখানেই শেষ নয়, দিল্লি পুলিশ ২৩১ টি বাইক আটক করেছে। এগুলি সবই চুরি করা হয়েছিল। পাশাপাশি একটি গাড়িও এই অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়। বছর শেষের আগে দিল্লি পুলিশের এই অভিযান টানা চলবে বলেই জানিয়ে দিয়েছেন সেখানকার এক সিনিয়র পুলিশ কর্তা।
নতুন বছরের আগেই দিল্লিতে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযান চলবে পুলিশের। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং উৎসবের সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতেই এই বিশেষ অভিযান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী, চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি। অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, গুলি এবং নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পিস্তল, দেশি বন্দুক, ছুরি, তলোয়ার, হেরোইন, গাঁজা ও অন্যান্য মাদক।
দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, নতুন বছরের উৎসবকে সামনে রেখে শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতেই এই অভিযান। ভিড় জমা হওয়া এলাকা, বাজার, হোটেল, ক্লাব ও সংবেদনশীল অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি এবং সন্দেহজনক যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করা হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই অভিযান আগামী কয়েক দিন ধরে চলবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ধরপাকড়ের ফলে নতুন বছরের উৎসবে দিল্লিতে নিরাপত্তা আরও মজবুত হবে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
