আজকাল ওয়েবডেস্ক: হোটেলের বাথরুমে পড়েছিল এক বধূর গলাকাটা, নিথর দেহ। হোটেলের অদূরে একটি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা জামা। মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমের খানিকটা দূরে এই হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক শোরগোল। তদন্তে নেমে প্রথমে ধোঁয়াশায় ছিল পুলিশ। অবশেষ একটি নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। বধূকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল তাঁর স্বামীকে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মীনাক্ষী ও তাঁর স্বামী অশোক কুমার। ত্রিবেণী সঙ্গমে পূণ্যস্নান সেরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছবি পোস্ট করেছিলেন। এরপর এমন একটি লজে তাঁরা যান, যেখানে পরিচয়পত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। সেদিনই হোটেলের বাথরুমে মীনাক্ষীর গলা কেটে খুন করে পালিয়ে যান অশোক।
পুলিশ জানিয়েছে, এরপর মীনাক্ষীর বাড়িতে অশোক জানিয়েছিলেন, তিনি মহাকুম্ভে হারিয়ে গিয়েছেন। বহু জায়গায় খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি লুকিয়ে দিল্লিতে ফিরে আসেন অশোক। অন্যদিকে প্রয়াগরাজে গিয়ে মীনাক্ষীর খোঁজ শুরু করেন তাঁর ছেলে। পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে খুঁজতে গিয়েই মীনাক্ষীর হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস হয়।
অশোককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। পুলিশকে অশোক জানিয়েছেন, তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনমাস ধরেই মীনাক্ষীকে খুনের পরিকল্পনা করছিলেন। অবশেষে মহাকুম্ভে এসে স্ত্রীকে খুন করেন।
