আজকাল ওয়েবডেস্ক: পারিবারিক অশান্তির জেরে ঘর ছেড়েছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী। সেই অভিমানই কাল হল। রাস্তায় কাগজ কুড়িয়ে দিন কাটানো থেকে শুরু করে রাজস্থানে পাচার- দীর্ঘ কয়েক মাস নারকীয় যন্ত্রণার শিকার হয় কিশোরী৷ শেষমেশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সে। দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে টানা ৪০ দিন লড়াইয়ের পর গত ১২ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তার।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে কিশোরী যে জবানবন্দি দিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দয়ালপুর এলাকার ওই কিশোরী গত বছর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে আশ্চর্যের বিষয়, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের তরফে থানায় কোনও ডায়েরি করা হয়নি। ভবঘুরের মতো পথে পথে ঘুরে আবর্জনা কুড়িয়ে কোনওরকমে দিন কাটত তার।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ২৪ অক্টোবর হরিয়ানার পানিপথে কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক পথচারী। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘদিনের অনাহার ও অপুষ্টিতে মেয়েটির শরীর কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছিল। একাধিক শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছিল।

হাসপাতালে দেওয়া বয়ানে ওই কিশোরী জানিয়েছিল, তাকে রাজস্থানের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এমনকী সেখানে তাকে জোর করে বিয়েও দেওয়া হয়। কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে সে হরিয়ানায় পৌঁছলেও শেষরক্ষা হয় নি।

পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, কিশোরীর এই চরম পরিণতির পিছনে পরিবারের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। তাকে কি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল? নাকি পাচারকারীদের সঙ্গে পরিবারের কোনও যোগ ছিল? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷