আজকাল ওযেবডেস্ক: দিল্লিতে রেড ফোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্ত আরও জোরদার করতে শুক্রবার ভোররাতে পুলওয়ামার উমর নবির বাড়িতে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আইইডি ব্যবহার করেই বাড়িটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার রাতে দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু এবং ২০ জনের বেশি আহত হওয়ার পর থেকেই উমর নবি এই ঘটনার অন্যতম মূল সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, বিস্ফোরণ ব্যবহৃত হুন্ডাই আই-টোয়েন্টি গাড়িটিতে তিনিই ছিলেন। সিসিটিভ ফুটেজও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। বিস্ফোরণে তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে।
বিস্ফোরণের পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ টানা রাতভর অভিযানে নেমে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে তিনজন উমরের পরিবারের সদস্য।
তদন্তকারী সূত্রের দাবি, ফরিদাবাদ টেরর মডিউল ধরা পড়ার পর আটক হওয়া দুই কাশ্মীরি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন উমর। সেই মডিউল থেকে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছিল।
বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাংশের ডিএনএ নমুনা উমরের মায়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
একসময় পড়াশোনায় মেধাবী হিসেবে পরিচিত উমর নবি গত দুই বছরে ক্রমশ কঠোর মতাদর্শের দিকে ঝুঁকেছিলেন বলে পুলিশের দাবি। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একাধিক ব়্যাডিক্যাল গ্রুপে যুক্ত থাকার তথ্যও মিলেছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক উমর নবি, মুজাম্মিল আহমদ গণাই এবং শাহিন শাহিদ সুইজ়ারল্যান্ড-ভিত্তিক এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ‘থ্রিমা’ ব্যবহার করে পরিকল্পনা সাজাতেন।
পাশাপাশি একটি ছোট সিগন্যাল গ্রুপও তৈরি করেছিলেন উমর, যেখানে হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য ছিলেন। পুলিশ জানায়, মোট ২৬ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ সংগ্রহ করে উমরের হাতে দেওয়া হয়েছিল।
সেই টাকা দিয়েই গুরগাঁও, নয়ডা ও নুহ-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২৬ কুইন্টাল এনপিকে সার কেনা হয়। এগুলিই আইইডি তৈরির একটি প্রধান উপাদান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট আটজন অভিযুক্ত চারটি শহরে জোড়ায় ভাগ হয়ে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল।
