আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। দিল্লি পুলিশ লালকেল্লা এবং কুতুব মিনার সহ শহরের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করল। এই স্থাপনাগুলির কাছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে। যদিও এই স্থানগুলিতে সাধারণত নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে, বর্তমান পরিস্থিতি দিল্লির বিভিন্ন অংশে পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।


ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে, এই ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভ্রমণের কারণে  নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আবহে এই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভুজ সহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় স্থানে হামলা করার চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত। 


পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবিরগুলিতে ভারতের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর প্রায় ১০০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই অভিযান চালায় ভারত। 


সীমান্তে সংঘর্ষের মধ্যেই মুম্বই উপকূলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুম্বইয়ের সি বিচ থেকে লোকেদের সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের ধারে ঘুরে বেড়াতে স্থানীয়দের বারণ করা হয়েছে। মুম্বইয়ের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।


অন্যদিকে চণ্ডীগড়, মোহালিতে আকাশপথে আক্রমণের সতর্কতা জারি করেছে এয়ারফোর্স স্টেশন। চণ্ডীগড়ে বাজতে শুরু করেছে এয়ার সাইরেন। শহরের বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরা ছিলেন।


বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু করে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত চলেছে সংঘাত। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর রাতভর গোলাগুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের লাগাতার হামলার চেষ্টা বারবার ভেঙে দেয় ভারতীয় সেনা। অন্তত ৫০টি পাক ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে, ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর তেমনটাই।