আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাকে পড়তে বলার 'শাস্তি' দিল মেয়ে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে গুরুগ্রামের ভোন্দসি এলাকার শনি এনক্লেভে। আত্মঘাতী ওই ১২ বছরের মৃত ছাত্রীর নাম মুসকান। ঘটনায় আঁতকে উঠেছে এলাকাবাসী৷ 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মুসকান নয়া গ্রামের একটি সরকারি স্কুলে পড়ত। তার বাবা দিনমজুর। আর মা পরিচারিকার কাজ করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, স্কুল থেকে ফেরার পর মুসকান তার ছোট ভাই-বোনদের সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠে। সেই সময় তার মা তাকে পড়তে বসান। এরপর সন্ধ্যায় মুসকানের মা যখন কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান, তখনই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মা চলে যেতেই মুসকান ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগায়। সেই সময় তার ভাই-বোনেরা বাইরে খেলা করছিল।

পরে ভাই-বোনেরা ঘরে ঢুকে দিদিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন বাড়িতে। এরপর মুসকানের মাকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পিছনে শিশুর অন্য কোনও কারণ ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হবে তাও। বর্তমানে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

অন্যদিকে, হায়দরাবাদের হাবসিগুডায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পরীক্ষার ফল ভালো না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে তার বাবা-মা অত্যন্ত বকাঝকা করেছিলেন। সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই সে এমন চরম পথ বেছে নেয়।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, হাবসিগুডার শ্রী চৈতন্য স্কুলের ওই ছাত্রী ছিল কিশোরী। সম্প্রতি পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল সে। দিনের পর দিন এই হতাশাই তাকে চরম পদক্ষেপ করার দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঠিক কী পরিস্থিতিতে এই কাণ্ড ঘটল, তা জানতে পুলিশ তার পরিবার, প্রতিবেশী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷