আজকোল ওয়েবডেস্ক: নতুন বছর ব্যস্ততায় কাটবে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর। মঙ্গলবার ছ'টি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। এর মধ্যে রয়েছে গগনযানে মহাকাশ মহিলা রোবট পাঠানো এবং আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সবচেয়ে দামী উপগ্রহ 'নিসার'কে পৃথিবীর কক্ষে পাঠানো।

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ২০২৪ সালে মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের অগ্রগতির তালিকা পেশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, জানুয়ারি মাসে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন স্পেস সেন্টার থেকে এনভিএস-০২ নামক একটি জিএসএলভি রকেট উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। এটি হবে ইসরোর ১০০তম উৎক্ষেপণ। এর পরেই মহাকাশে মহিলা রোবট পাঠাবে ইসরো। গগনযান মিশনের অঙ্গ হিসাবে ‘ব্যোমমিত্রা’ নামের একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে দেশ। নভোশ্চরদের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখার জন্যই রোবটটিকে পাঠানো হবে। 

মার্চে উৎক্ষেপণ করা হবে 'নাসা-ইসরো সার' (নিসার) উপগ্রহ। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারত ও আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে সবচেয়ে দামী উপগ্রহটিকে। এর সাহায্যে পৃথিবীর প্রতিটি স্থলভাগ এবং জলভাগের উন্নতমানের ছবি তোলা সম্ভব হবে। জিতেন্দ্র বলেন, ''১৯৬৯ সালে ইসরো যখন যাত্রা শুরু করে তখন আমেরিকা চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন ইসরো আমেরিকার উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাচ্ছে।'' তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারি বা মার্চে আরও একটি এলভিএম৩-এম৫ উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। সেটি আমেরিকার এক মোবাইল সংস্থার কাজে লাগবে।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ''২০২৫ সাল ইসরোর জন্য বেশ রোমাঞ্চকর হতে চলেছে। আমরা চারটি জিএসএলভি, তিনটি পিএসএলভি এবং একটি এসএসএলভি রকেট উৎক্ষেপণ করব নতুন বছরে।''

গত সোমবার রাতেই মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর তৈরি পিএসএলভি-সি৬০ রকেট। এটি ইসরোর ৯৯তম সফল উৎক্ষেপণ ছিল। রকেটটির প্রধান পেলোড হিসাবে ছিল দু’টি মহাকাশযান, স্পেডেক্স ১ এবং ২। পিএসএলভি-সি৬০-এর সফল উৎক্ষেপণে ইসরোর বিজ্ঞানীদের ‘মহাকাশ ডকিং’ মিশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।