আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধুমধাম বিয়ে। সানাইয়ের সুরে মেতে ছিলেন সকলেই। হুল্লোড়ে মেতেছিলেন পাত্র-পাত্রীও। বিয়ের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান শেষেই ঘটল বিপত্তি। সমস্ত আত্মীয়দের সামনে পাত্রী জানালেন, তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাবেন না। এই বিয়েও তিনি ভাঙতে চান! বিয়ের আসরে পাত্রীর এহেন কাণ্ডে রীতিমতো চোখ ছানাবড়া সকলে। কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি?

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ঢোলপুরে। পাত্র প্রদীপ সরকারি স্কুলের শিক্ষক, পাত্রী দীপিকা বিএড পাশ করে চাকরির চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা ভাঙার ঘোষণা করেন পাত্রী। সাফ জানিয়ে দেন, শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে এই পাত্রের সঙ্গে তিনি সংসার করবেন না। 

কিন্তু কেন? দীপিকা জানিয়েছেন, সিঁদুরদানের সময় প্রদীপের হাত কাঁপছিল। তাঁর ধারণা, তিনি কোনও কঠিন অসুখে ভোগেন। যা বিয়ের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে লুকিয়ে গেছেন। কিন্তু প্রদীপ জানিয়েছেন, তীব্র ঠান্ডার কারণে তাঁর হাত কাঁপছিল। বিয়ের আগে দীপিকার পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার দেখাসাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর। একবারও হাত কাঁপেনি বলে জানিয়ে দেন। 

পাত্রীর এমন সিদ্ধান্ত শুনেই দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশও বিয়ের আসরে আসে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন দীপিকা। বর্তমানে তাঁদের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় গ্রামেও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।