আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল। চলছিল প্রস্তুতিও। বিয়ের পাকা দেখাশোনার পরেই বদলে গেল পাত্রের স্বভাব! ধীর, স্থির, নম্র স্বভাবের পাত্রই দিনের পর দিন লাগাতার ধর্ষণ করলেন হবু স্ত্রীকে। তাও আবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। লাগাতার নির্যাতনের কাহিনি অবশেষে ফাঁস করলেন তরুণী। 

থানায় পৌঁছে তরুণী জানিয়েছিলেন, বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন যুবক। যৌনতায় লিপ্ত না হলেই বিয়ে ভাঙার হুমকি দিতেন। এভাবেই এক একটি শহরে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন পাত্র। বাধ্য হয়েই সঙ্গমে লিপ্ত হতেন তরুণী। 

বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। যুবকের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী। এও জানিয়েছেন, বিয়ের শেষ কথাবার্তার সময়েই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করে যুবকের পরিবার জানিয়ে দেয়, এই বিয়ে আর সম্ভব নয়। যা ঘিরে দুই পরিবারেও তুমুল ঝামেলা চলছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমান বিজেপি বিধায়ক প্রভু চৌহানের ছেলে প্রতীক চৌহানের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি জানিয়েছেন এক তরুণী। বিদার থানায় প্রতীক চৌহানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। 

আরও পড়ুন: নদীতে পড়ে গিয়েছিল চটি, তুলতে গিয়েই জলের তোড়ে ভেসে গেলেন তরুণ! বন্ধুরা হাত বাড়ালেও শেষরক্ষা হল না

তরুণী জানিয়েছেন, প্রতীকের সঙ্গে তাঁর বিয়ের দেখাশোনা চলছিল। তখনই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়। আপাতদৃষ্টিতে তাঁকে নম্র স্বভাবের বলেই মনে হয়েছিল। বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পরেই প্রতীকের স্বভাব বদলে যায়। কিছুদিন দেখাসাক্ষাতের পরেই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। 

তরুণী অভিযোগ করেছেন, দেখাসাক্ষাতের পরেই তাঁকে বিভিন্ন নামী হোটেলে নিয়ে যেতেন প্রতীক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এমনকী একাধিক ধর্ষণ করেন তাঁকে। সঙ্গমে লিপ্ত না হলেই মারধর করতেন। যৌনতায় লিপ্ত না হলে, বিয়ে ভাঙার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। বিয়ে ভাঙার ভয়ে অবশেষে যুবকের কথাই মেনে নিতেন তিনি। 

তরুণী জানিয়েছেন, ঘুরতে যাওয়ার অজুহাতে কখনও মহারাষ্ট্রের লাতুরে, কখনও সিরিডিতে, কখনও আবার বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রতীক। বিভিন্ন শহরে নামী হোটেলে নিয়ে যেতেন তাঁকে। সেখানেই চলত যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলি। লাগাতার ধর্ষণের পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন প্রতীক। 

দিন কয়েক আগেই প্রতীকের পরিবারের সঙ্গে বিয়ের ফাইনাল কথাবার্তা বলতে যান তরুণীর পরিবার।‌ সেখানে গিয়েই অশান্তি আরও চরমে পৌঁছয়। প্রতীকের পরিবার জানায়, এই বিয়ে সম্ভব নয়। তাঁরা যা পারে, করে নিক। কোনও মতেই প্রতীকের বিয়ে তাঁরা দেবেন না। এমনকী কোনও পুলিশি পদক্ষেপেও তার সম্ভব নয়। 

আচমকা পরিবারের সুর বদলে যাওয়ায়, চরম অপমানিত হয় তরুণীর পরিবার। শেষমেশ মহিলা থানায় বিজেপি বিধায়কের ছেলে প্রতীকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতীক চৌহানের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনায় মামলা রুজু করে চলছে তদন্ত। এখনও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।