আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের জোটের জট কাটাতে এবার ময়দানে দু জন। নির্মলা সীতারামণ এবং বিজয় রূপাণী। নির্মলা দেশের অর্থমন্ত্রী, বিজয় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার গেরুয়া শিবির এই দুজনকে মহারাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছে। সূত্রের খবর, দুজনে মহারাষ্ট্রের নবনিযুক্ত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সকলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন, সে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই বিষয়ে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। 

৫ তারিখ মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ, অথচ এখনও মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হয়নি। যদিও জোর গুঞ্জন কুরশিতে ফের বসতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস। স্পষ্ট হয়েছে, শিন্ডে শিবসেনা ভেঙে আসার পর সরকার গঠনে যে সমঝোতা করেছিল বিজেপি, আর তার পুনরাবৃত্তি হবে না। তবে শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী-মন্ত্রিসভার সমঝোতায় পুরোপুরি এখনও রাজি হননি বলে খবর সূত্রের। যদিও একনাথ শিন্ডে আগেই জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁর সমর্থন থাকবে সেখানেই। জল্পনা ছিল, এবার আর একনাথ শিন্ডে নয়, তাঁর ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন। যদিও শ্রীকান্ত তা নিজেই গুজব বলে জানিয়েছেন। 

২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি, শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী) এবং এনসিপি (অজিত গোষ্ঠী) জোট মহাজুটি। বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এখনও পর্যন্ত তা ঘোষণা করেনি মহাজুটি। এর পর দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরেই নিজের গ্রাম সাতারায় চলে যান শিন্ডে। জল্পনা শুরু হয়, জোটের অন্দরে ভাঙন ধরেছে। সেই জল্পনায় রবিবার জল ঢেলে দিলেন একনাথ। সোমবার সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিস ফোন করেছিলেন একনাথ শিন্ডেকে।  তবে জল্পনা, শিন্ডে জোর দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ নিয়ে। এসবের মাঝেই দুজন পর্যবেক্ষককে নিযুক্ত করল বিজেপি।