আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের মাধেপুরা জেলার শঙ্করপুরে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এক স্কুলের অধ্যক্ষের ভাগ্নে পাঁচ বছরের এক শিশুকে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে। শঙ্করপুর থানা এলাকার মৌরা কাবিয়াহি পঞ্চায়েতের নয়া গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জেরে হুলুস্থুল। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্কুলের অধ্যক্ষ অনিল যাদবের ভাগ্নে অন্নু কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এরপর স্কুলটি বন্ধ করে তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তরুনীর পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে বেল্ট দিয়ে পেটানো হয়। তারপর একই বেল্ট দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এমনকি তার হাতে ও পায়ে সূঁচ ছিদ্র করা হয়েছিল। তরুণীর সারা শরীরে ক্ষতের চিহ্ন। পরিবার জানিয়েছে, স্কুলের অধ্যক্ষ আহত তরুণীকে তাঁর মায়ের দোকানের কাছে রেখে যান। গুরুতর অবস্থায় তাকে জননায়ক করপুরী ঠাকুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর স্কুলের অধ্যক্ষ শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী পূজা কুমারীর খালা রীনা দেবী জানান যে পাঁচ মাস আগে তাঁর ভাই সঞ্জয় যাদব দুই মেয়েকে শঙ্করপুরের নিউ পাবলিক স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। শনিবার রাতে তাঁর শ্যালিকা খাবারের দোকান চালাচ্ছিলেন। সেই সময়ে অনিল যাদব আহত তরুণীকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে পরিবার আহত তরুণীকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। 

শিশুর হাতে সিরিঞ্জের সূঁচের চিহ্ন ছিল। রীনা দেবী আরও জানান যে তাঁর ভাগ্নিকে প্রথমে বেল্ট দিয়ে পেটানো হয়। এরপর চলে আরও মারধর। নির্মমভাবে তার হাতে সিরিঞ্জের সূঁচ ছিদ্র করা হয়। ঘটনার তীব্রতা সত্ত্বেও শঙ্করপুর থানায় এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷