আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার। দশমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসলেন নীতীশ কুমার।  ২৫ বছরে দশমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ । বৃহস্পতিবার পাটনার গান্ধী ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।

যেদিন ফের শপথ নিচ্ছেন নীতীশ, সেদিনই বিহারের ভোটের ময়দানে লড়াই করা অপর এক দলের সুপ্রিমো মৌনব্রত'তে বসেছেন।  বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যায় খাতা খুলতে না পারার পর, বৃহস্পতিবার গান্ধী আশ্রমে জন সূরাজ-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর মৌনব্রত পালন করেছেন।  তিনি এদিন বলেন, 'গত তিন বছরে তোমরা আমাকে যতটা পরিশ্রম করতে দেখেছো, তার দ্বিগুণ পরিশ্রম করবো এবং আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে কাজ করব। পিছু হটার কোনও প্রশ্নই আসে না। বিহারকে আরও উন্নত করার আমার সংকল্প পূরণ না করা পর্যন্ত পিছু হটার কোনও সুযোগ নেই।'
 
অভিষেকেই শূন্য পেয়ে, প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন, 'বিহারের জনগণকে আমি ব্যাখ্যা করতে পারিনি যে তাদের ভোট দেওয়ার ভিত্তি কী এবং কেন তাদের একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। তাই, প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে, আমি ২০শে নভেম্বর গান্ধী ভিটিহারওয়া আশ্রমে এক দিনব্যাপী নীরব অনশন পালন করব। আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনও অপরাধ করিনি।'

 

এড় আগে দলের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'আমাদের প্রচেষ্টায়, আমাদের চিন্তাভাবনায়, আমরা যেভাবে ব্যাখ্যা করেছি, যাতে জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেনি, তাতে অবশ্যই কিছু ভুল ছিল। যদি জনগণ আমাদের উপর আস্থা না দেখায়, তাহলে তার দায় সম্পূর্ণরূপে আমার। আমি ১০০ শতাংশ নিজের উপর দায়িত্ব নিচ্ছি, যে আমি বিহারের জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারিনি।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিহারের জনগণকে আমি ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছি যে, তাদের ভোট দেওয়ার ভিত্তি কী এবং কেন তাদের একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। তাই, প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে, আমি ২০শে নভেম্বর গান্ধী ভিতিহারওয়া আশ্রমে একদিনব্যাপী নীরব অনশন পালন করব... আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনও অপরাধ করিনি।'

 

নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোর নিজেই বলেছিলেন, তার দল হয় থাকবে “আর্শ পর” — চরম সাফল্যের শিখরে, নয় “ফর্শ পর”— সম্পূর্ণ ব্যর্থতার মুখে। মাঝামাঝি কোনো জায়গা থাকবে না। এক্সিট পোলে ইঙ্গিত মিলেছিল তার। ফলাফলেও। এবার তার সম্পূর্ণ দায়ভার নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর নিজেই।