আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার ভোট। রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো হিসেবে, এই ভোট ছিল প্রশান্ত কিশোরের অভিষেকের সময়। কিন্তু অভিষেকেই ধরাশায়ী। বিহার ভোটে, প্রশান্ত কিশোরের দল, শূন্য আসন পেয়েছে। একাধিক রাজনৈতিক দলকে রাজনীতির মারপ্যাঁচ কষে জেতানোর পর, তিনি নিজের দলকেই জেতাতে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। শুক্রবার ফলাফল ঘোষণার পর, প্রথমবার, মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন, এক সময়ের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। জানিয়েছেন, হার, দায়ভারের কথা। জানিয়েছেন, এই হারের কারণে তিনি একদিন নীরব অনশন পালন করবেন।
শূন্য'র দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন দলের নেতা। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, প্রশান্ত কিশোর দলের রাজনৈতিক ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন, তাঁর দল সৎ চেষ্টা করেছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, এই বিধানসভা ভোটে বিহারে খেলা ঘোরাতে পারে প্রশান্ত কিশোরের দল। ২৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েও, একটি আসন জিততে পারেনি জন সূরজ। তাদের মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩.৪৪ শতাংশ। ৬৮ বিধানসভায় তাঁদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ নোটা'র চেয়েও কম।
দলের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'আমাদের প্রচেষ্টায়, আমাদের চিন্তাভাবনায়, আমরা যেভাবে ব্যাখ্যা করেছি, যাতে জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেনি, তাতে অবশ্যই কিছু ভুল ছিল। যদি জনগণ আমাদের উপর আস্থা না দেখায়, তাহলে তার দায় সম্পূর্ণরূপে আমার। আমি ১০০ শতাংশ নিজের উপর দায়িত্ব নিচ্ছি, যে আমি বিহারের জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারিনি।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিহারের জনগণকে আমি ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছি যে, তাদের ভোট দেওয়ার ভিত্তি কী এবং কেন তাদের একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। তাই, প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে, আমি ২০শে নভেম্বর গান্ধী ভিতিহারওয়া আশ্রমে একদিনব্যাপী নীরব অনশন পালন করব... আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনও অপরাধ করিনি"।
তারপরেই নিজের অনশনের পরিকল্পনা জানান প্রশান্ত কিশোর। এদিন বলেন, 'প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে, আমি ২০শে নভেম্বর গান্ধী ভিতহারওয়া আশ্রমে এক দিন নীরব উপবাস পালন করব। আমরা হয়তো ভুল করেছি, কিন্তু আমরা কোনও অপরাধ করিনি।'
নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোর নিজেই বলেছিলেন, তার দল হয় থাকবে “আর্শ পর” — চরম সাফল্যের শিখরে, নয় “ফর্শ পর”— সম্পূর্ণ ব্যর্থতার মুখে। মাঝামাঝি কোনো জায়গা থাকবে না। এক্সিট পোলে ইঙ্গিত মিলেছিল তার। ফলাফলেও। এবার তার সম্পূর্ণ দায়ভার নিলেন প্রশান্ত কিশোর নিজেই।
