আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ শনিবারও স্বাভাবিক হল না ইন্ডিগো–র বিমান পরিষেবা। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার উড়ান বাতিলের ঘটনায় কার্যত বিধ্বস্ত ইন্ডিগো–র পরিষেবা। অভিযোগ গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের দাবি, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা। কিন্তু শনিবারও দেখা গিয়েছে একই ছবি। পরপর বাতিল হয়েছে বহু উড়ান।


জানা গেছে, কেরলের তিনবনন্তপুরম বিমানবন্দরে তিনটি আন্তর্দেশীয় ও তিনটি অন্তর্দেশীয় উড়ান বাতিল হয়েছে শনিবার সকালে। অন্যদিকে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টার মধ্যেই বাতিল হয়েছে ১৯টি উড়ান। শনিবার চেন্নাই বিমানবন্দরে সকাল ৯টা পর্যন্ত বাতিল উড়ানের সংখ্যা ২৯। প্রসঙ্গত, শুক্রবার মোট একহাজারেরও বেশি উড়ান বাতিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা ছিল ৫৫০। আশা করা হচ্ছে, শনিবার ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ১০০০–এর নিচে নেমে আসবে। ফলে পরিস্থতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।


এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বহু যাত্রী। তাঁদের আর্জি, প্রধান বিচারপতি যেন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। শনিবার দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইন্ডিগো–র বিমান পরিষেবা ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে এবং স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। বিমান যাত্রীদের অসুবিধা লাঘব করতে দেশ জুড়ে ৩৭টি ট্রেনে অতিরিক্ত ১১৬টি কামরা যুক্ত করেছে রেল।


কী কারণে এই বিভ্রাট, তা অনুসন্ধান করতে ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। অন্য দিকে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যাঁরা এই বিভ্রাটের জন্য দায়ী, তাঁদের মূল্য চোকাতে হবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‌একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোথায় গলদ ছিল এবং তার জন্য কে দায়ী ছিল, ওই কমিটি তা খতিয়ে দেখবে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চলেছি। তাই যাঁরা এটার (ইন্ডিগো বিভ্রাট) জন্য দায়ী, তাঁদের এর মূল্য চোকাতে হবে।’‌ 


শুক্রবার ইন্ডিগো–র সিইও পিটার এলবারস জানান, আগামী ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। যাত্রীদের কাছে সংস্থার তরফে আরও এক বার ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু তারপরেও শনিবার পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি।