আজকাল ওয়েবডেস্ক: নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন বিহারের এনডিএ সরকারকে সমর্থনে রাজি এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি! ঘটা করে সরকার গঠনের পর এই ঘোষণা করেছেন হায়দ্রাবাদের সাংসদ। তবে, এই সমর্থের বদলে শর্ত আরোপ করেছেন ওয়েইসি। রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চল থেকে পাঁচটি আসনেই জিতেছেন ওয়েইসির দলের প্রার্থীরা। 

আমোরে এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সেখানেই তিনি বলেন, "নীতীশ কুমারের সরকারকে আমারা সমর্থন জানাতে প্রস্তুত। তবে সীমাঞ্চলকে ন্যায়বিচার দিতে হবে। উন্নয়ন কেবল রাজধানী পাটনা এবং পর্যটন কেন্দ্র রাজগীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়।"

এআইএমআইএম প্রধানের সাফ কথা, "কতদিন সবকিছু পাটনা এবং রাজগীরকে কেন্দ্র করে চলবে? সীমাঞ্চল নদী ভাঙন, ব্যাপকভাবে অভিবাসন এবং ব্যাপক দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। সরকারকে এই সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে।" 

সীমাঞ্চল অঞ্চলে পাঁচটি আসন
বিহারের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সীমাঞ্চল বলেই পরিচিত। এই অংশে রাজ্যের বেশি সংখ্যায় মুসলিমদের বসবাস। বিহারের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম সীমাঞ্চল। কোশি নদীর জল উপচে পড়ার কারণে সীমাঞ্চলে প্রায় প্রতি বছর বন্যা হয়। সীমাঞ্চলের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে।

সীমাঞ্চল অঞ্চলের ২৪টি নির্বাচনী কেন্দ্র মূলত এনডিএ-র উপর ভরসা রেখেছে। বিরোধী জোট ১৪টি আসন পেয়েছে। বিহারে এনডিএ-র বিশাল জয় সত্ত্বেও, ওয়াইসির নেতৃত্বাধীন এআইএমআইএম সীমাঞ্চলে তাদের দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। জিতেছে পাঁচটি আসন। ২০২০ সালেও পাঁচটি আসন জিতেছিল এআইএমআইএম। তবে, ২০২০ সালের নির্বাচনের পর এআইএমআইএম-এর চারজন বিধায়ক আরজেডি-তে যোগ দিয়েছিলেন।

এবারও কী বিদায়কদের ধরে রাখতে পারবেন ওয়েইসি? এআইএমআইএম প্রধানের দাবি, দলের বিধায়কদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে জবাবদিহিতা-ভিত্তিক পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, "আমাদের পাঁচজন বিধায়ক সপ্তাহে দু'বার তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার অফিসে বসবেন এবং তাঁদের লাইভ হোয়াটসঅ্যাপ অবস্থান-সহ আমাকে ছবি পাঠাবেন। যার মাধ্যমে তাঁরা কে কোথায় রয়েছেন, কী কাজ করছেন তা জানা যাবে।" 

ওসাউদ্দিন ওয়েইসি নিজেও ছয় মাস অন্তর সীমাঞ্চলে আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমরা ছয় মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু করার চেষ্টা করব। আমি ছয় মাসে একবার এআইএমআইএম প্রার্থীদের কাজ নিজে এসে দেখার চেষ্টা করব।"