আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৪-এর ডিসেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিরিয়ানির দোকান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় চেন্নাইয়ের বিশেষ আদালত অভিযুক্তকে তিরিশ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে। সঙ্গেই জ্ঞানশেখরন নামের ওই অভিযুক্তকে জরিমানাও করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকার।
 
 সোমবার তার সাজা ঘোষণা হলেও, চেন্নাইয়ের বিশেষ আদালতে গত সপ্তাহেই দোষী সাব্যস্ত হয় যায় জ্ঞানশেখরন। তার বিরুদ্ধে মোট ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই ১১টি অভিযোগই সত্য বলে প্রমাণিত হয়ে যায়। জ্ঞানশেখরনকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং তামিলনাড়ু নারী হয়রানি নিষিদ্ধকরণ আইনের অধীনে সমস্ত অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। 
 
 ২০২৪-এর ডিসেম্বরের এই ঘটনার পরে বিক্ষোভ হয়েছিল তীব্র। নারীদের নিরাপত্তা নিয়েই জোর প্রশ্ন ওঠে। বিচারক এম রাজলক্ষ্মী অপরাধের তীব্রতা বিবেচনা করে এই সাজা ঘোষণা করেন। গত বুধবার, তিনি জ্ঞানশেখরনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। উল্লেখ্য, যৌন নির্যাতন ছাড়াও জ্ঞানশেখরনের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। 
গত বছর ডিসেম্বরে ঠিক কী ঘটেছিল? নির্যাতিতা ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, জ্ঞানশেখরন প্রথমে ওই ছাত্রী এবং তার বন্ধুর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও করে। পিছন থেকে ওই ভিডিও করার পর তা ছাত্রীর পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ছাত্রীকে হুমকি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে জ্ঞানশেখরনের বিরুদ্ধে।
