আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিশি মদের সঙ্গে বিলিতি সুরা মিশিয়ে বন্ধুকে খুনের অভিযোগ রুম পার্টনারের বিরুদ্ধে। রান্না নিয়ে ঝামেলার জেরেই এই খুন। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধু সুধীর শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাসখানেক আগে গাজিয়াবাদে খোডা থানা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সুধীর শর্মার সঙ্গে থাকছিলেন ফারুখাদাবাদের বাসিন্দা নেত্রাম শর্মা (৩২)। তবে দিন কয়েক আর নেত্রামকে দেখা যাচ্ছিল না। বেপাত্তা ছিলেন সুধীরও। ২১ মার্চ ওই ঘর থেকে পচা-দুগর্ন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে নেত্রাম শর্মার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।
তদন্তে নেমে ফ্ল্যাট ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। ফুটেজে দেখা যায় ১৭ মার্চ সকাল ৭টা নাগাদ সুধীর গেটের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যান। কিন্তু, পরে তাঁকে আর ফিরে আসতে দেখা যায়নি। আর এতেই পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে সুধীরের উপর। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত সুধীর, নেত্রামকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি উর্দিধারীদের।
কেন সুধীর খুন করল নেত্রামকে? পুলিশকে সুধীর জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ তাঁদের মধ্যে রান্না নিয়ে বচসা হয়। মৃত নেত্রাম বাইরে থেকে খাবার আনাতে পছন্দ করতেন। সুধীর ঘরে রান্না করতেন। তাঁদের ঘরে রান্না করলে ঘর গরম হয়ে উঠত, তাই নিয়ে দু'জনের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা লেগে থাকত। গত ১৫ মার্চ তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় হয়। নেত্রাম তাঁকে গালিগালাজ করে অভিযোগ করেছেন সুধীর। এরপরই সে নেত্রীমকে খুনের পরিকল্পনা করেন। সুধীর জানতে পারেন যে, দিশি মদের সঙ্গে বিলিতি সুরা মিশিয়ে খেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ব্যক্তি। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। সেই মতো গত ১৬ তারিখ রাতে সে নেত্রমকে দিশি ও বিলিতি মদ মিশিয়ে খাওয়ায়। এতেই ঘটে যায় বিপদ। বিষক্রিয়ার নেত্রাম বিছানায় অচৈতণ্য হয়ে পড়ে।
পুলিশের দাবি, নেত্রামকে বেহুঁশ দেখে তাঁর শরীর চাদর দিয়ে মুড়ে দেন সুধীর। পরে মৃত্যু হলে ১৭ তারিখ সকালে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। ২৯ তারিখ সুধীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই গোটা বিষয়টি খোলসা হয়। সুধীরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ, মদে কোনও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য পুলিশ ভিসেরা আরও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করেছে।
