আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতিগত জনগণনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জাতিগত জনগণনাকে “দেশবিরোধী চক্রান্ত” বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, এটি হিন্দু সমাজকে বিভক্ত করার একটি ষড়যন্ত্র, যার পেছনে বিরোধী দলগুলির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
কিন্তু মোদী সরকারের জাতিগত জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর আদিত্যনাথ একমাত্র একটি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেও, তার বাইরে তিনি নীরব রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ২ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আদিত্যনাথের পুরনো বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ বাজিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেন।
অখিলেশ প্রশ্ন তোলেন, “আদিত্যনাথ কি এখনও তাঁর ওই বক্তব্যে অটল আছেন, না কি তিনি তা সংশোধন করতে চান?”
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য জাতিগত জনগণনাকে “ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত” বলে বর্ণনা করে বিজেপির এই উদ্যোগকে গরিব, দলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দিকেই বড় পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু ঐক্যের ডাক দিয়ে আদিত্যনাথ যেভাবে জাতিগত প্রশ্নে বরাবরই আপত্তি জানিয়েছেন, তা তাঁকে বিজেপির অভ্যন্তরেই কিছুটা কোণঠাসা করে তুলছে। বিপরীতে, ওবিসি নেতা মৌর্য বিজেপির মধ্যে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করছেন।
জাতিগত জনগণনা ঘিরে এই দ্বিমুখী অবস্থান বিজেপির অন্দরে ভবিষ্যতে আরও টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে বলেই মত বিশ্লেষকদের।
