আজকাল ওয়েবডেস্ক : অনেকেই আছেন যারা বিমানে চড়তে পছন্দ করেন। তবে হাতে বেশি টাকা না থাকার জন্য তারা নিজেদের সেই শখ আর মেটাতে পারেন না। তাদের জন্য এবং সুখের চাবিকাঠি নিয়ে এলেন গৌতম আদানি।
নবি মুম্বইতে এবার শুরু হয়ে যাবে আদানি গ্রুপের নতুন বিমানবন্দর। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অতি কম খরচে যাতায়াত করা যাবে। পাশাপাশি এখান থেকে আন্তর্জাতিক মহলেও পাড়ি দেওয়া যাবে। ফলে সেদিক থেকে দেখতে হলে বিমানের টিকিটের দাম অনেকটাই কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখান থেকে বাণিজ্যিকভাবে দেখতে হলে আদানি গ্রুপ অনেক বেশি এগিয়ে যাবে বলেই মনে করছে দেশের শিল্পমহল।
যে খবর মিলেছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে ইন্ডিগো এই বিমানবন্দরকে নিজেদের স্থায়ী ঘর হিসাবে গড়ে তুলতে পারে। অন্যদিকে টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়া এবং স্পাইসজেট, আকাসাকেও বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে আদানি গ্রুপের এই পদক্ষেপটি।
মুম্বইয়ের পাশে আদানি গ্রুপের এই নতুন বিমানবন্দকটি ২২ মাইল এলাকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে এখানে প্রচুর বিমান যেমন থাকতে পারবে ঠিক তেমনই এখান থেকে কম খরচে যেকোনও জায়গায় অতি সহজেই চলে যাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে আদানি গ্রুপ মনে করছে এখান থেকে ২১ মিলিয়ন মানুষ। যাতায়াত করতে পারবেন। এখান থেকে দুবাই, লন্ডন বা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পথও অতি সহজ হবে। ফলে সেখানে যাত্রীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।
এর কাছেই রয়েছে মুম্বই এয়ারপোর্ট। সেখান থেকে এখন প্রচুর বিমান ওঠানামা করতে পারে। তবে তার ভার খানিকটা হলেও লাঘব হয়ে যাবে এই নতুন বিমানবন্দরের জেরে। ফলে শুধু যাত্রী পরিষেবা নয়, বাণিজ্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতেও বিরাট কাজ করবে এই নবি মুম্বই বিমানবন্দর।
আসলে বাণিজ্যনগরী মুম্বইকে টার্গেট করেছে আদানি গোষ্ঠী। তারা মনে করছে আগামীদিনে ভারতের সমস্ত বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে যাবে এই বিমানবন্দরটি। সেখানে আদানি গ্রুপ আগামীদিনে নতুন দিশা খুলে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
