আজকাল ওয়েবডেস্ক:  দিল্লি চলো-র ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। শনিবারই তৃণমূল কংগ্রেস ভবন থেকে তিনি এসআইআর নিয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন।

 

অভিষেক এর আগে তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেছিলেন, ''৩১ তারিখ দিল্লি যাব। সেখানে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করব।'' সেই মতোই বছরের শেষ দিনে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন তৃণমূলের ১০ জনের প্রতিনিধি দল কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন, যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। আর সেই আড়াই ঘণ্টার বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেই কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, ''কে ভোট দেবে সেটা কেন্দ্র সরকার নির্বাচন করছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটার বাদ পড়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে কতজন অনুপ্রবেশকারী সেটা তালিকা দিয়ে প্রকাশ করুক নির্বাচন কমিশন। আর যদি সেটা করতে না পারে তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিক।'' 


বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসআইআরের সময়সীমা নিয়ে অভিষেক বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে কেন বাড়তি সময় দেওয়া হয়নি। সীমান্তবর্তী সব রাজ্যে কেন এসআইআর নয়? এসআইআর কারণে বিএলও, সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। ছ'জন হাসপাতালে ভর্তি। পরিবারের লোকেরা পর্যন্ত বলছে এসআইআর এর জন্য দায়ী। আসলে, বেছে বেছে বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যা ১০ কোটি ৫ লাখ। সবথেকে কম ভোটার বাদ গিয়েছে এখানে। মাত্র ৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি অনুপ্রেবেশকারী থাকলে তার তালিকা দিক কমিশন। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে।"


এসআইএর-এর কড়াকড়ি এক এক  রাজ্যে, এক একরকম, নানামহল থেকে সে কথা বারবার উঠেছে। সে নিয়েও অভিষেক বলেন, " পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশের জন্য কেন নিয়ম আলাদা? আপনি লিস্ট তৈরি করুন, প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখবে। কেন কমিশনের বিরুদ্ধে এফআইআর নয়? বাংলার মানুষ এফআইআর করে পাল্টা জবাব দেবে।"


কমিশনের পাশাপাশি এ দিন বিজেপিকেও একহাত নিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গকে গুজরাত তৈরির চেষ্টা চলছে। বার বার পশ্চিমবঙ্গকে অপমান করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বাংলা বিপ্লবীদের মাটি, বাংলা মাথা নত করবে না।" মতুয়া প্রসঙ্গে তাঁর আক্রমণ, 'লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্য কথা বললেও এখন মতুয়াদের বুড়ো আঙুল দেখাল বিজেপি। তবে মতুয়াদের পাশে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।' শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে অভিষেক জানিয়ে দেন নতুন বছরের শুরু থেকেই তিনি পথে নামবেন। ২ জানুয়ারি থেকেই রাজ্য সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তিনি মানুষের দুয়ারে যাবেন। শুরু হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুর থেকে।

 

&t=315s
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর-এর শুনানি। যাদের নাম নিয়ে কমিশনের সংশয় রয়েছে তাদেরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে শুনানিতে। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন ভোটাররা। এই তালিকা থেকে বাদ যাননি রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদরাও।