আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি গাছ বদলে দিল একজনের জীবন। এরপর সেই গাছ বিক্রি হল ১২ লাখ টাকায়। থিরুভাল্লারের এই ব্যক্তি এখন সংবাদ শিরোনামে।


জীবনে শখ ছিল ফুলের বাগান করবেন। তবে দিয়ে তো পেট ভরবে না। থিরুভাল্লারের এক ব্যক্তি তবে হাল ছাড়েননি। তিনি শুরু করেন ডেজার্ট রোজের গাছের ব্যবসা। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে কপাল খুলে যায় তার। এখন বছরে ৬০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। চেন্নাইয়ের ধারে থাকা এই ব্যক্তি এখন গাছেদের নিয়েই থাকেন।

 


নামটি তার জলন্ধর। শখ ছিল গাছ লাগানো থেকে শুরু করে গাছের সেবা করা। বিগত ৪০ বছর ধরে তিনি এই কাজই করে গিয়েছেন। তবে তা দিয়ে পেট ভরেনি। অভাবেই চলেছে তাঁর সংসার। এরপর নিজের ১৫ একর জমিতে তিনি শুরু করে ডেজার্ট রোজের চাষ। সেখান থেকেই কপাল খুলে যায়। 

 


তার এই গোলাপের বাগান দেখে এখন সকলের চোখ কপালে ওঠার যোগাড়। এমনকি তীব্র গরমেও তার গোলাপের বাগান থাকে একেবারে সতেজ। সেখানে নানা বয়সের মানুষ আসেন। কিনে নিয়ে যান এই গোলাপ গাছের চারা। একটি সাক্ষাৎকারে জলন্ধর জানান তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে এই বাগানটি তৈরি করেছিলেন। সেখানে তিনি মূলত গোলাপের চাষ করেন। তাঁর কাছে ৪৫০ প্রজাতির গোলাপ রয়েছে। এছাড়াও অন্য ধরণের ফুলের গাছও রয়েছে।

 


জলন্ধর জানিয়েছে ছোটো গাছের চারা তিনি ১৫০ টাকাতে বিক্রি করেন। তবে যারা বড় গাছ নিয়ে যেতে চায় তাঁদের কাছ থেকে তিনি ১২ লাখ টাকা নেন। এই ডেজার্ট রোজ পৃথিবীতে তিন জায়গায় পাওয়া যায়। একটি হল চেন্নাই, দ্বিতীয়টি হল ভিয়েতনাম এবং তৃতীয়টি হল থাইল্যান্ড। এখানে বসেই এই টাকা রোজগার করতে পেরে তিনি খুশি। জলন্ধর জানিয়েছে রোদে যেখানে সমস্ত গাছ শুকিয়ে যায় সেখানে এই গোলাপ গাছগুলি আরও বেশি সতেজ হয়ে থাকে। ফলে সারাদিন গাছেদের মধ্যে থাকার তাঁর স্বপ্নও পূরণ হয়ে যায়।