আজকাল ওয়েবডেস্ক: তরুণদের মধ্যে হৃদরোগ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয়টি আরও গাঢ় গল। শুক্রবার সকালে পুনের চিঞ্চওয়াড় এলাকার একটি জিমে ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি শরীরচর্চা করতে গিয়েছিলেন। শরীরচর্চা শেষ করার পরেই মেঝেতে পড়ে যান ওই যুবক। মিলিন্দ কুলকার্নি নামে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটে সকাল ৭টা নাগাদ নাইট্রো জিমে, যেখানে মিলিন্দ কুলকার্নি গত ছয় মাস ধরে নিয়মিত সদস্য ছিলেন।

তথ্য অনুসারে, মিলিন্দ তাঁর ওয়ার্কআউটের মধ্যবর্তী পর্বে ছিলেন। জিমের ফাঁকে যখন তিনি ছোট বিরতি নিয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি জল পান করেন এবং হঠাৎ মাথা ঘুরছে বলে উপলব্ধি করেন।

কিছুক্ষণ পরে, তিনি জিমের মেঝেতে পড়ে যান। কর্মীরা এবং অন্যান্য জিম-সদস্যরা দ্রুত তাঁর সাহায্যে ছুটে যান এবং তাঁকে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে, হাসপাতালে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং তদন্ত করছেন। সিনিয়র পুলিশ অফিসার অঙ্কুর বাঙ্গার বলেছেন, "চিঞ্চওয়াড়ের নাইট্রো জিমে ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি সকাল ৭টার দিকে ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে মিলিন্দ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।" 

মিলিন্দ কুলকার্নি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তাঁর স্ত্রী, যিনি একজন চিকিৎসক, পুনেতে থাকতেন। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, মিলিন্দের পরিবারের হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ইতিহাস ছিল। তাঁর বাবা এবং ভাই দু'জনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, যার ফলে সন্দেহ করা হচ্ছে যে- মিলিন্দের মৃত্যুর কারণ একই রকম হতে পারে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 2, 2025

মিলিন্দের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। ময়নাতদন্ত চলছে এবং ফলাফল পাওয়ার পরে ডাক্তাররা আরও স্পষ্টভাবে তা জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জিম কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও বিবৃতি জারি করেনি, তবে সদস্যরা এই ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

হৃদরোগে আক্রান্ত তরুণ ও ফিট ব্যক্তিরা
বিগত কয়েক বছরে, তুলনামূলকভাবে কম বয়সী ফিটনেস প্রেমীদের হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি সংস্থাগুলিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি, অভিনেতা-মডেল শেফালি জারিওয়ালা এবং বিগ বস ১৩ বিজয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লা-সহ বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে এই মৃত্যুর বেশিরভাগই ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে রিপোর্ট করা হয়েছে, যা কয়েক দশক আগে বিরল ছিল। এই চমকপ্রদ প্রবণতা মানুষকে তাদের জীবনধারা নিয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।