আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঞ্জাবের ফরিদকোট জেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই মহিলা এবং ১১ বছরের এক শিশু সহ তিনজন। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে চান্দভান গ্রামের কাছে।

জানা গিয়েছে, একটি হোন্ডা সিটি গাড়ি রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর প্রায় দু’টো নাগাদ সাতজন যাত্রী চন্দভান গ্রাম থেকে জৈতোর বারাদ প্যালেসে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।

বিয়ের অনুষ্ঠানের ভেন্যু থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গাড়িটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা কয়েকটি গাছে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনার তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই মহিলা ও এক শিশু।

গাড়িতে থাকা বাকি চারজন গুরুতর জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকার্য হাত লাগান। আহতদের গাড়ি থেকে বের করে দ্রুত জৈতো সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যান।

পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাদের স্থানান্তরিত করা হয় কোঠকাপুরা সিভিল হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, আহতদের প্রত্যেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ফরিদকোট জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা। স্থানীয়দের দাবি, ওই রাস্তায় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং রাস্তার ধার ঘেঁষে বড় গাছ থাকার কারণে এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে।

প্রশাসনকে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি, পাঞ্জাবের আর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলায়।

ট্রাক ও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপরেই আগুন ধরে যায় যাত্রীবাহী গাড়িতে। বন্ধ গাড়িতে আগুনে পুড়ে প্রাণ হারান গাড়িতে থাকা পাঁচ আরোহী।

জানা যায়, দ্রুত গতির গাড়িটি ট্রাকের সামনে সজোরে ধাক্কা মারে। এরপরই গাড়িতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল কর্মীরা।

আগুন নেভানোর পর গাড়ি থেকে পাঁচ যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

সঙ্কটজনক অবস্থায় একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঘটনার পরের দিন সেই ব্যক্তিও চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে প্রাণ হারান।