আজকাল ওয়েবডেস্ক: অতিক্রান্ত ১৫ দিন। এখনও কোনও খোঁজ নেই তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গের ধসে আটকে পড়া শ্রমিকদের। উদ্ধারকারী দল স্নিফার ডগ ব্যবহার করে দু'টি সম্ভাব্য জায়গার চিহ্নিত করেছে। কিন্তু সেই জায়গাতেও শ্রমিকরা রয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ক্রমশই আশঙ্কার মেঘ গভীর হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, শ্রমিকদের বাঁচার আশা ক্রমশ কমছে।
শ্রীশৈলম বাঁধের সুড়ঙ্গে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হলেও উদ্ধারকারী দলের কাছে আটক শ্রমিকদের হদিশ নেই। সুড়ঙ্গের ভিতরে অনেকটাই ঢুকতে পেরেছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু আটকে থাকা শ্রমিকদের কোনও সাড়া-শব্দ মেলেনি বলে দাবি উদ্ধারকারী দলের। ফলে কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ বাড়ছে।
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনা, রেলের টিম পর্যন্ত নেমেছে উদ্ধারকাজে। তাঁদের সহায়তা করেচে ব়্যাট মাইনার্সের দল। ৭০০ জনের বেশি এই উদ্ধারকাজে জড়িত। তবুও সাফল্যের খাতা শূন্যই।
উদ্ধারকাজে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সুড়ঙ্গ থেকে বেরনো কাদা মাটি, জল। তার জেরে বেশি ভিতরে এগোতেই পারছেন না উদ্ধারকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এইভাবে জল-কাদা টপকে ভিতরে জোর করে ঢুকতে চাইলে প্রাণ সংশয় হতে পারে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের।
শ্রীশৈলম বাঁধের সুড়ঙ্গের ঠিক কোনও অংশে শ্রমিকরা আটকে রয়েছে তা জানতে পারলেও যে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে তাও নিশ্চিৎভাবে বলা যায় না। কারণ জল-কাদার জেরে সেই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছতে কত সময় লাগবে তা কেউ জানেন না। সুড়ঙ্গের শেষ ২৫ থেকে ৩৫ মিটার পুরোপুরি জল-কাদায় ভরে রয়েছে। তা সরানোর কাজ শুরু হলেও ফাঁকা করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তামেন এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরার মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে রোবোটিক ক্যামেরা। কিন্তু, প্রস্ন হল আটকে পড়া শ্রমিকদের কি আদৌ উদ্ধার করা সম্ভব হবে?
