আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৩০শে জুন রাতে হিমাচল প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় ১১ মাস বয়সী এক শিশুকন্যা নিকিতা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। ঘটনাটি ঘটে সেরাজ বিধানসভা কেন্দ্রে। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে শিশুটির বাবা-মা এবং দাদী ভেসে যান। নিকিতাকে তাদের বাড়িতে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিকিতার বাবা রমেশ, মা রাধা ও দাদী পূর্ণু দেবী তাঁদের বাড়ির পেছনে উপচে পড়া স্রোতকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে বেরিয়েছিলেন। ঠিক তখনই জলের স্তর হঠাৎ বেড়ে যায়। বন্যায় গোটা বাড়ি ডুবে যায়। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকা শিশুটি নিরাপদে থাকে। পরবর্তীতে রমেশের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাধা ও পূর্ণু দেবীর মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধান অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
ঘটনাটি রাজ্য এবং এর বাইরেও অনেকের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে নিকিতার দেখাশোনা করছেন তার ফুফু তারা দেবী।
গোহরের এসডিএম (অতিরিক্ত দায়িত্বে) স্মৃতিকা নেগি সহায়তার কথা নিশ্চিত করে বলেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিকিতাকে দত্তক নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ফোন পান। ৩০ জুন এবং ১ জুলাই আকস্মিক বন্যায় এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফলস্বরূপ বহু মানুষ প্রাণ হারান। অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে।
