আজকাল ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল-এই দুই সমস্যায় ভুক্তভোগী অল্পবয়সিরাও। বয়স নির্বিশেষে বহু মানুষ প্রতিদিন এই দুই বিপজ্জনক সমস্যার সঙ্গে লড়ছেন। ওষুধের পাশাপাশি অনেকেই এখন প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন কোনও উপায় খুঁজছেন। ঠিক সেই সময়ই আলোচনায় এসেছে আচার্য বালকৃষ্ণের দেওয়া আয়ুর্বেদিক চূর্ণ রেসিপি, যা নিয়মিত খেলে রক্তে সুগার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।

এই বিশেষ ফর্মুলায় রয়েছে চারটি শক্তিশালী ভেষজ উপাদান-জামের বীজ, শুকনো করলা, মেথি বীজ এবং কুটকী। আচার্য বালকৃষ্ণের মতে, এই উপাদানগুলোকে সমান পরিমাণে নিয়ে ভালভাবে শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক চামচ করে খেতে হবে। আর তাতেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাবে। 

কেন কার্যকর এই উপাদানগুলো? জামের বীজ বহুদিন ধরেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা জ্যাম্বোলিন নামের যৌগ শরীরে গ্লুকোজের হঠাৎ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, করলা অসাধারণ ইনসুলিনের মতো পলিপেপটাইডে সমৃদ্ধ, যা রক্তে চিনি কমাতে সাহায্য করে।

ফাইবারে সমৃদ্ধ মেথি খাওয়ার পর হজমের গতি কমিয়ে রক্তে শর্করার প্রবেশ কমায়। পাশাপাশি কুটকী লিভারকে ডিটক্সিফাই করে এবং শরীরে চর্বি জমা কমিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। 

আচার্য বালকৃষ্ণের মতে, এই চূর্ণ শুধু ডায়াবেটিস নয়, খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতেও সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে করলা ও মেথির ফাইবার মিশ্রণ রক্তে চর্বি কমাতে সক্ষম। ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

কীভাবে খেতে হবে? তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সকাল খালি পেটে ১ চামচ এবং রাতে খাবারের পরে ১ চামচ এক গ্লাস হালকা গরম জলের সঙ্গে খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। যদিও এই রেসিপি প্রাকৃতিক এবং বহু মানুষ এটি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি খাওয়া শুরু করা উচিত। একইসঙ্গে যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।