আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাঁরা স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বাবা-মা হতে পারেন না তাঁদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার পর। বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকে তার জন্য শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়। তবে শুক্রাণুদানের বিষয়টি আইসিএমআর-এর কড়া গাইডলাইন মেনে করতে হয়। কী কী নিয়ম রয়েছে কেন্দ্রের?
2
10
সাধারণত দাতার বয়স হতে হয় ১৮ থেকে ৩৯ এর মধ্যে।
3
10
দাতাকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হবে। বংশে কোনও পারিবারিক রোগের ইতিহাস থাকা চলবে না। কোনও জিনগত রোগের ইতিহাস থাকলেও চলবে না।
4
10
সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌন রোগের পরীক্ষা করা হবে দাতার। এইচআইভি এইডস, হেপাটাইটিস ইত্যাদি পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা করা হয় মূত্রেরও।
5
10
দাতার জীবনযাত্রার মান সন্তোষজনক হতে হবে। সাধারণত ধূমপান এবং মদ্যপান করেন এমন ব্যক্তিদের শুক্রাণু দান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কোনও ধরনের মাদক ব্যবহারের ইতিহাস থাকা চলবে না।
6
10
শুক্রাণুর মান পরীক্ষা করার জন্যেও বিশেষ পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত দাতাকে শুক্রাণু দান করার ২-৩ আগে থেকে বীর্যপাত করতে নিষেধ করা হয়। শুক্রাণুর গতি, নড়াচড়া এবং ঘনত্ব পরীক্ষা করা হয়।
7
10
শুক্রাণু দানের আগে দাতাকে একটি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এই ফর্মে দাতাকে জানাতে হয়, তিনি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় বীর্য দান করছেন এবং ভবিষ্যতে এই শুক্রাণু ব্যবহার করে কোনও সন্তানের জন্ম হলে তিনি সেই সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করতে পারবেন না।
8
10
এর বিপরীতে শুক্রাণু দাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। অর্থাৎ কে কার শুক্রাণু গ্রহন করছেন তা জানার কোনও উপায় থাকে না।
9
10
গোটা বিষয়টি যাতে পরোপকারী একটি প্রক্রিয়া হিসাবেই দেখা হয় তাঁর জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমাআর। সে কারণে শুক্রাণুর বিনিময়ে কোনও রকম অর্থ প্রদান করা হয় না। তবে দাতার সময়ের দাম এবং যাত্রার খরচ হিসাবে পুরস্কার স্বরূপ কিছু টাকা দেওয়া হয় ক্লিনিকগুলির তরফ থেকে।
10
10
এই টাকার পরিমাণ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন। তবে গড়ে একবার শুক্রাণু দান করে কমবেশি আট থেকে দশ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন দাতা।