পেটের মেদ কমানো সবচেয়ে কঠিন—এটা কি আপনি টের পেয়েছেন? ব্যায়াম এবং ডায়েট করেও অনেক সময় ফল পাওয়া যায় না। ঠিক এই সমস্যার সমাধানে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি জানিয়েছেন তাঁর পরীক্ষিত উপায়। হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড ও AIIMS-এ প্রশিক্ষিত এই বিশেষজ্ঞ তুলে ধরেছেন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত পেটের মেদ কমানোর তিনটি টিপস।
2
5
ডা. শেঠির মতে, প্রথম ও সবচেয়ে সহজ ধাপ হলো ১২:১২ ফাস্টিং প্যাটার্ন শুরু করা। অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা খাওয়া এবং ১২ ঘণ্টা না খাওয়া। এটি শরীরকে বিশ্রাম দেয়, ঘুম ভালো হয় এবং পরের দিন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফাস্টিংয়ের জগতে এটি সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর শুরুর ধাপ।
3
5
ফাস্টিং-এর সময়ে শুধু ব্ল্যাক কফি, গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, জল, অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার, লেবুর জল, মৌরি বা তুলসির জল, ক্যামোমাইল বা আদা-চা পান করার পরামর্শ দেন তিনি। এতে শরীর হালকা থাকে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে আসে। ভুলবশত কোনও ক্যালোরিযুক্ত পানীয় খেলেই ফাস্টিং ভেঙে যেতে পারে। তাই এই সময়টা পুরোপুরি ক্লিন রাখতে হবে।
4
5
খাওয়ার উইন্ডোতে সবচেয়ে জরুরি হলো ফাইবার ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। paneer, tofu, ছোলা, চিকেন, টার্কি, মাছ—এসব প্রোটিন শরীরকে দীর্ঘক্ষণ ভরপুর রাখে। তাজা ফল ও সবজি ফাইবার দিয়ে হজম ভালো করে এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এই কম্বিনেশন ক্ষুধা কমায় এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করে।
5
5
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মূলত সময়-নির্ভর খাদ্যাভ্যাস, যা শরীরে ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে। কম সময়ে খাবার খেলে অজান্তেই কম ক্যালোরি গ্রহণ হয়। পাশাপাশি হরমোনের পরিবর্তন শরীরকে ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণা দেখায়, এটি ওজন কমানো ও মেদ ঝরানোর একটি কার্যকর ও বৈজ্ঞানিক উপায়।