সিঙ্গাপুর: মাত্র ৭৩৫.৭ বর্গকিলোমিটার জমির ওপর গঠিত ছোট্ট দেশ সিঙ্গাপুর এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তুলেছে। এর PowerIndex স্কোর ০.৫২৭১, যা বিশ্বে শীর্ষ ৩০-এর মধ্যে স্থান পেয়েছে। সিঙ্গাপুরের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি হলো বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং কৌশলগত প্রতিরক্ষা উদ্যোগ। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বও এর সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
2
6
ইজরায়েল: ইজরায়েলের PowerIndex স্কোর ০.২৬৬১, যা তাকে বিশ্বে ১৫তম স্থানে রেখেছে। প্রায় ২২,১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই রাষ্ট্রের সামরিক শক্তি নির্ভর করে বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা, উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা কৌশলে অবিরাম উদ্ভাবনের ওপর। পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হওয়ায় ইসরায়েল একটি উচ্চ-প্রস্তুত সেনাবাহিনী বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল গবেষণা ও উন্নয়ন বিনিয়োগ ইসরায়েলের সামরিক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
3
6
দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে বিশ্বের ৫ম শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে বিবেচিত, যার PowerIndex স্কোর ০.১৬৫৬। প্রায় ১,০০,৩৬৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত দেশটি বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা, উচ্চ প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং আধুনিক প্রযুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক প্রস্তুতি সবসময় উচ্চ পর্যায়ে থাকে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত জোটও তাদের সামরিক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
4
6
সুইজারল্যান্ড: চিরন্তন নিরপেক্ষতার জন্য পরিচিত সুইজারল্যান্ডও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রেখেছে। এর PowerIndex স্কোর ০.৭৮৬৯, যা তাকে বিশ্বে ৪৪তম স্থানে রেখেছে। প্রায় ৩৯,৫১০ বর্গকিলোমিটার ভূমির দেশটি একটি দক্ষ মিলিশিয়া ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তি, এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অদম্য প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিরক্ষা কৌশল তৈরি করেছে। যুদ্ধ না করেও সুইজারল্যান্ডের সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকে—এটি তাদের স্বনির্ভরতা ও নিরাপত্তা-নিষ্ঠার প্রতিফলন।
5
6
ফিনল্যান্ড: ফিনল্যান্ড বিশ্বের ৪৮তম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, যার PowerIndex স্কোর ০.৮৪৩৭। প্রায় ৩,৩৭,০৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত এই দেশটি বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা, প্রশিক্ষিত রিজার্ভ বাহিনী এবং কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশলের জন্য সুপরিচিত। ইতিহাসে বহুবার বড় শক্তির বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ফিনল্যান্ড তাদের সেনাবাহিনীর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। প্রশিক্ষণ, আধুনিকীকরণ ও প্রতিরক্ষা অবকাঠামোয় নিয়মিত বিনিয়োগই ফিনল্যান্ডকে একটি নির্ভরযোগ্য ও প্রস্তুত সামরিক শক্তিতে পরিণত করেছে।
6
6
এই দেশগুলো প্রমাণ করছে যে, সামরিক ক্ষমতা শুধু সেনার সংখ্যা বা ভূখণ্ডের আয়তনের ওপর নয়—বরং কৌশল, প্রযুক্তি এবং জাতীয় প্রস্তুতির ওপর নির্ভরশীল। ছোট দেশ হলেও তারা আজ বিশ্বের মঞ্চে বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।